ডিপজল, সেলিম খানের প্রার্থিতা বাতিল, আবার বন্ধেরও আশঙ্কা প্রযোজক সমিতির নির্বাচন

সেলিম খান ও ডিপজল

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদি নির্বাচনের সংশোধিত নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচনী বোর্ড। তফসিলে আগামী ২০ আগস্ট নতুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা করেছে। বুধবার এ-সংক্রান্ত একটি নোটিশ ও সংশোধিত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তবে আদালতের রায়ে ভোটার তালিকা সংশোধনীর কারণে অনেকেরই প্রার্থিতা ও ভোট বাতিল হওয়াতে তাঁদের কেউ কেউ আদালতে যেতে পারেন। আবার আটকে যেতে পারে এই ভোট।  
এর আগে ২১ মে ২০২২ এবং ওই নির্বাচন-পরবর্তী অফিস বেয়ারার পদে ২৩ মে ২০২২ তারিখ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু মহামান্য হাইকোর্টের রিট নম্বর ৬০৪৬/২০২২, ১৯ মে ২০২২-এর নির্দেশনা অনুযায়ী এবং মহাপরিচালক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস স্মারক নম্বর ২৬.০০.০০০.১৫৭-৩৩(অংশ-৪)৯৭-১৯৭ ধারায় ওই নির্বাচন বাতিল করা হয়। সেই সঙ্গে মহামান্য হাইকোর্টের রিট নম্বর ৬০৪৬/২০২২ রায় মেনে ভোটার তালিকায় সংশোধনী আনে নির্বাচন কমিশন।

২০১৯ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচন
ছবি : সংগৃহীত

এদিকে সংশোধিত নির্বাচন তফসিলে দেখা গেছে, ভোটার তালিকা সংশোধন করায় প্রার্থী, প্রার্থীর প্রস্তাবক ও সমর্থক ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার কারণে সাধারণ সদস্যপদ প্রার্থী থেকে ডিপজল, সেলিম খানসহ ১৫ জন ও সহযোগী সদস্যপদ প্রার্থী থেকে ৪ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেছে। একই সঙ্গে সালিসি ট্রাইব্যুনাল, এফবিসিসিআইর ১৯ মে ২০২২-এর রায় এবং সংশোধিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এর আগে বাতিল হওয়া সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী খোরশেদ আলম ও শামসুল আলমের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

তবে তফসিলে উল্লেখ আছে, সংশোধিত ভোটার তালিকা বাতিল হওয়া প্রার্থীদের নাম থাকলে পুনরায় ঘোষিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মনোনয়ন তুলে নির্বাচন করতে পারবেন তাঁরা।

প্রযোজক নেতা শামসুল আলম ও খোরশেদ আলম
ছবি: সংগৃহীত

সংশোধিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করাতে নির্বাচন কমিশনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সভাপতি প্রার্থী খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, ‘আদালতের রায় মেনে নির্বাচন কমিশন সুন্দরভাবে তফসিল সাজিয়েছেন। আমরা চাই, সংশোধিত তফসিলে ২০ আগস্টে যেন সুন্দর, সুষ্ঠুভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। তাড়াতাড়ি নির্বাচন হলে নতুন নেতৃত্ব আসবে, সমিতি গতিশীল হবে। সিনেমার জন্য ভালো হবে।’
তবে তফসিল অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে এবারও ভোট বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন এই সাবেক নেতা। আরেক প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী সেলিম খানকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, যাঁদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে এবং ভোটার তালিকা সংশোধনীতে একটি নির্দিষ্ট প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের অনেক ভোট বাতিল হয়েছে। তাঁরা উচ্চ আদালতে যেতেই পারেন। মামলা হতেই পারে। এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

জানা গেছে, ভোটার তালিকা সংশোধনীতে বাতিল হওয়া সাধারণ সদস্য ৫১ ভোটের মধ্যে প্রযোজক সেলিম খানের প্যানেলেরই প্রায় ৪৫টি ভোট বাতিল হয়েছে। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে যাবেন কি না, জানতে চাইলে সেলিম খান বলেন, ‘এসব ভোট নিয়ে এখন আর ভাবছি না। ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে, সে জন্য বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত আছি। এ ব্যাপারে পরে কথা বলব।’
সংশোধনীতে বর্তমান সাধারণ ভোটার ১০৮ ও সহযোগী ভোটার ৬৮ জন।
এদিকে ভোট বন্ধ হওয়ার আগে থেকে ১৯টি সাধারণ সদস্যপদের জন্য ৪০ ও ২টি সহযোগী সদস্যপদের জন্য ৪ জন লড়ছিলেন।