মিমের মধুচন্দ্রিমার মধুর স্মৃতি

মালদ্বীপের হুরুয়েলি দ্বীপে বিদ্যা সিনহা মিমমিমের সৌজন্যে

সমুদ্রের নীল জলে সবে ডুব দিয়েছে সূর্য। তখনো কিছুটা লাল আভা লেগে ছিল নীল আকাশে। চারদিকে আলো–আঁধারির খেলা। সমুদ্রের ওপরে ছোট্ট ঘর, সামনে কাঠের ছোট্ট উঠান। সেখানে বসে গল্প করছিলেন মিম ও সনি। মধুচন্দ্রিমার জন্য এমন নির্জন, প্রাকৃতিক পরিবেশ, এমন চোখজুড়ানো নীল জল আর আকাশ যেন আদর্শ। তাতে ভিন্ন মাত্রা জুগিয়েছে জলের শব্দ, সামুদ্রিক পাখি। এমন সময় মিমদের সামনে জ্বেলে দেওয়া হলো মোমবাতি। শুরু হয় ক্যান্ডেল লাইট ডিনার। সে এক দারুণ দৃশ্য! মালদ্বীপের হুরুয়েলি দ্বীপে মধুচন্দ্রিমার এক সন্ধ্যার বিবরণ এভাবেই দিয়েছেন মিম।
জীবনে এ এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা, জানালেন মিম।

বিয়ের দুই মাসের মাথায় ১৫ ফেব্রুয়ারি মধুচন্দ্রিমায় যান মিমরা
মিমের সৌজন্যে

এই ঢালিউড অভিনেত্রী বলেন, ‘এভাবে ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের অভিজ্ঞতা আমার এবারই প্রথম। সন্ধ্যার আলো–ছায়ায় সমুদ্রের পানির ওপরে তৈরি ঘরের সামনে একান্তে দুজনের সময় কাটানো মুহূর্তগুলো স্বপ্নের মতো। শান্ত সমুদ্রের পানির শব্দ, সমুদ্রের পাখিদের ডাক—কী যে ভালো লাগছিল, বলে বোঝানো মুশকিল। এমন আনন্দ আর ভালো লাগার মুহূর্ত আমার জীবনে আর আসেনি।’

বিদ্যা সিনহা মিম
মিমের সৌজন্যে

বিয়ের দুই মাসের মাথায় ১৫ ফেব্রুয়ারি মধুচন্দ্রিমায় যান মিমরা। পাঁচ দিন ছিলেন সেখানে। শুটিং, শপিং, সাজানো সেট, জনারণ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ওই দ্বীপে একান্তে দুজনের প্রতিটি ক্ষণ ছিল মধুময়। মিম বলেন, ‘একান্তে সময় কাটাতেই ওই দ্বীপে গিয়েছিলাম আমরা। বিচের পাশেই সবুজে ঘেরা ছোট ছোট টিলা। সবুজ প্রকৃতির সঙ্গে হাঁটা, সমুদ্রের সঙ্গে থাকাই ছিল আমাদের কাজ।’

বিদ্যা সিনহা মিম
মিমের সৌজন্যে

ইচ্ছা ছিল সমুদ্রে সূর্যোদয় দেখার। কিন্তু মনোমুগ্ধকর সেই পরিবেশ দেখার সুযোগ মিমদের হয়নি। এ জন্য আফসোস রয়ে গেছে মিমের। তিনি বলেন, ‘প্রতি রাতেই ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমরা আলাপ করতাম, ভোরে সমুদ্রের ওপর থেকে সূর্য ওঠা দেখব, দেখব শান্ত সমুদ্র। কিন্তু এক দিনও পারতাম না। ঘুম থেকে উঠেই দেখতাম সূর্য উঠে গেছে। এই আফসোস রয়ে গেছে।’ প্রতিদিন সকালের নাশতা শেষে মিমরা মাছ ধরতে গেছেন। সমুদ্রের ওপর কাঠের সাঁকোয় বসে নীল জলে পা ডুবিয়ে বড়শিতে মাছ ধরতেন। সেই মাছ আবার সমুদ্রেই ছেড়ে দিতেন তাঁরা।

বিদ্যা সিনহা মিম
মিমের সৌজন্যে

এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এভাবে আগে কখনো মাছ ধরিনি। বড়শিতে বিভিন্ন রঙের ছোট ছোট মাছ ধরতাম আর ছেড়ে দিতাম। যখন ছেড়ে দিতাম, মাছগুলোর পালিয়ে যাওয়া উপভোগ করতাম আমরা।’

বিদ্যা সিনহা মিম
মিমের সৌজন্যে

দুজনার রোমান্টিক কোন মুহূর্তের স্মৃতি মনে থাকবে অনেক দিন? মিম জানান, যে ঘরে তাঁরা থাকতেন, সেটার একটি সিঁড়ি নেমে গেছে সমুদ্রের জলে। প্রথম দিন থেকেই মিমের ইচ্ছা ছিল ওই সিঁড়ি দিয়ে পানিতে নামবেন। কিন্তু বাদ সাধেন তাঁর স্বামী সনি। জায়গাটি সৈকত থেকে বেশ দূরে। পানিতে নেমে যদি কোনো বিপদ হয়!

বিদ্যা সিনহা মিম
মিমের সৌজন্যে

এ কারণে মিমকে জলে নামতে দিচ্ছিলেন না সনি। কিন্তু মিম নাছোড়বান্দা। ফিরে আসার আগের দিন মিম সিদ্ধান্ত নিলেন পানিতে তিনি নামবেনই। মিমের পানিতে নামার সেই দৃশ্য ভিডিও করেছেন সনি। মিম বলেন, ‘সনি আমাকে বলে কী জানেন, “আমি জানি না। তুমি নিজের ইচ্ছায় নামছ। কিছু ঘটে গেলে যাতে আমার দোষ না হয়, এ জন্য ভিডিও করে রাখছি।” চিন্তা করেন, কত্ত খারাপ সনি। হা হা হা।’ ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেছেন মিম। তবে এখনো কাজে যোগ দেননি।

৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেছেন মিম
মিমের সৌজন্যে