‘মুজিব আমার পিতা’ অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রের উদ্বোধন

‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ গ্রন্থ অবলম্বনে ‘মুজিব আমার পিতা’ অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ গ্রন্থ অবলম্বনে ‘মুজিব আমার পিতা’ অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আগামী ১ অক্টোবর শুক্রবার ছবিটি মুক্তি পাবে।

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ প্রযোজিত এবং সোহেল রানা পরিচালিত অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’ প্রদর্শন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।

অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’
সংগৃহীত

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ সময় চলচ্চিত্রটি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আজকে ৭৫তম জন্মদিনে তাঁর লেখা গ্রন্থ অবলম্বনে নির্মিত প্রথম সেন্সর ছাড়পত্রপ্রাপ্ত অ্যানিমেশন মুভি “মুজিব আমার পিতা”র মুক্তি জাতীয় চলচ্চিত্র অঙ্গনে একটি মাইলফলক। অ্যানিমেটেড মুভি আরও হয়েছে, কিন্তু সেন্সর ছাড়পত্রপ্রাপ্ত মুভি এটিই প্রথম।’

অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’
সংগৃহীত

চলচ্চিত্রকে একটি ক্রমবর্ধমান মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রদর্শনের মাধ্যম থেকে শুরু করে নির্মাণমাধ্যম—সবকিছুই কিন্তু পরিবর্তিত হচ্ছে। কারণ, পৃথিবীতে গত দুই দশকে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। সেই সঙ্গে চলচ্চিত্রেরও অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। সেই প্রেক্ষাপটে এই অ্যানিমেশন মুভি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড না থাকলে আমাদের তরুণেরা বিপথে যায়। ২০১৩-১৪-১৫ সালে দেখেছি, যেসব জেলায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপকতা ছিল, সেখানে মৌলবাদী হাঙ্গামা বেশি হয়নি। আর যেসব জেলায় কম ছিল, সেখানে মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সে জন্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কোনো বিকল্প নেই এবং সেটির বড় অনুষঙ্গ হচ্ছে চলচ্চিত্র।’

জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দৃষ্টিতে তাঁর পিতাকে কীভাবে দেখেছেন, সেটা নিয়েই তিনি বইটি লিখেছেন এবং সেটার ওপর ভিত্তি করে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। আশা করি, এটি জাতির সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।’