হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, ছবিটি করতে গিয়ে তিনি ক্রমাগত একের পর এক বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। এটি ২০১৭–১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানের ছবি। এরপরও অনেক টাকা দেনা হয়ে যায় এ পরিচালকের। এটিই তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এর আগে কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আর প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। সেই ছবিগুলোতেও হাবিবুর রহমানের প্রযোজক ছিলেন তাঁর মা রহিমা বেগম। সাধারণত, সন্তান নির্মাতা হতে চাইলে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে মা–বাবা অথবা পরিবার সেটিকে সহজ চোখে দেখে না। কিন্তু শুরু থেকেই এ নির্মাতার সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা।

প্রথম ছবিতে যত্নের কোনো ত্রুটি রাখেননি পরিচালক হাবিবুর রহমান। ছয় বছর ধরে লেখা হয়েছে চিত্রনাট্য। প্রথম ছবির জন্য কেন এ গল্পটাই বেছে নিলেন? উত্তরে এ নির্মাতা বলেন, ‘আমার সাহিত্য নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল। আহমদ ছফা দেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক। প্রথম ছবির জন্য “অলাতচক্র”–এর চেয়ে ভালো কিছু হয় না। ছয় বছর ধরে সময় নিয়ে চিত্রনাট্য লেখা। কাস্টিংয়েও আপস করিনি। জয়া আহসানকে প্রথম ছবিতে পাওয়া বড় ব্যাপার। শব্দে রিপন নাথ কাজ করেছেন। ফরম্যাটটাও একটু নেড়েচেড়ে দেখলাম। দেশের ছবিতে এটা একেবারেই নতুন। অনেকগুলো সম্পর্ক জুড়ে ছবিটা বানানো। আরও আগে শেষ হয়েছিল। তবে করোনার জন্য এক বছর পিছিয়ে গেল।’  

‘অলাতচক্র’ দেখা যাবে ঢাকার তিনটি সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার, শ্যামলী, সাভারের সেনা, নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপ, চট্টগ্রামের সুগন্ধা ও সিলভার স্ক্রীন, খুলনার সঙ্গীতা, কক্সবাজারের স্কাই ভিউ, ময়মনসিংহের পূরবী, দিনাজপুরের মডার্ন, বরিশালের অভিরুচি, রংপুরের শাপলা, জয়দেবপুরের বর্ষা ও শ্রীপুরের চন্দ্রিমা সিনেমা হলে।

১৯ মার্চ দেশের ১৭টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘অলাতচক্র’। এর মধ্য দিয়ে জন্ম নিতে চলেছেন এক পরিচালক। নির্মাতা হাবিবুর রহমানের প্রথম ছবি এটি। দেশের প্রথম থ্রিডি সিনেমাও হতে চলেছে এটি। ‘অলাতচক্র’ দেখা যাবে ঢাকার তিনটি সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার, শ্যামলী, সাভারের সেনা, নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপ, চট্টগ্রামের সুগন্ধা ও সিলভার স্ক্রীন, খুলনার সঙ্গীতা, কক্সবাজারের স্কাই ভিউ, ময়মনসিংহের পূরবী,  দিনাজপুরের মডার্ন, বরিশালের অভিরুচি, রংপুরের শাপলা, জয়দেবপুরের বর্ষা ও শ্রীপুরের চন্দ্রিমা সিনেমা হলে।