এভাবে আমাকে একা করে দিলা মামুনি...

মায়ের সঙ্গে পূজা। ছবি: ফেসবুক

শুটিং কিংবা বাইরে যেখানে যাবেন, সঙ্গে মা থাকা চাই। বেশির ভাগ সময় মায়ের সঙ্গে কাটত এই অভিনেত্রীর।  চাওয়া–পাওয়া, আবদার—সবই ছিল মায়ের কাছে। দীর্ঘদিন মায়ের অসুস্থতার জন্য কাজেও নিয়মিত হতে পারেননি পূজা। চেয়েছিলেন, মা সুস্থ হলে নিয়মিত শুটিং শুরু করবেন। মনের জমানো কথাগুলো মাকে বলবেন। আবার আগের মতো রাগ, অভিমান, খুনসুটি চলবে মায়ের সঙ্গে। তা আর হলো না। আজ রোববার সকালে মাকে হারিয়েছেন এই অভিনেত্রী। মাকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পূজা চেরী।

পূজা। ছবি: ফেসবুক

পূজা তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘এভাবে আমাকে একা করে দিলা মামুনি? এইটা তো কথা ছিল না। তুমি না বলছিলা, আমার পাশে সব সময় থাকবা। আমার এখন কী হবে? আমি কাকে আমার সব কথা বলব মামুনি? কত কথা জমা হয়ে আছে, ভেবেছিলাম তুমি সুস্থ হলে সব কথা গড়গড় করে বলব।’

মায়ের সঙ্গে পূজা। ছবি: ফেসবুক

শুটিংয়ে একসময় পূজা চেরীর মা নিয়মিত সঙ্গে যেতেন। কয়েক বছর ধরে মায়ের অসুস্থতার জন্য পূজা নিজেই চাইতেন মাকে সঙ্গে না নিতে। এ সময়ে শুটিংয়ে যা যা ঘটত, সেগুলো মায়ের সঙ্গে ভাগাভাগি করতেন। মা ছিলেন পূজা চেরীর কাছে বন্ধুর মতো। সবকিছু বন্ধুকে যেভাবে বলা যায়, যেভাবে বন্ধুর সঙ্গে হাসা যায়, সেভাবেই মায়ের সঙ্গে মনের জমানো কথাগুলো বলে হাসতেন, গড়িয়ে পড়তেন পূজা। সেই বন্ধুকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ এই অভিনেত্রী।

মায়ের সঙ্গে পূজা
ফেসবুক থেকে

পূজা স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘কিন্তু এইটা কী হলো? তুমি তোমার এই মেয়ের কথা চিন্তা করলে না? বুকে আটকে থাকা এই কষ্ট নিয়ে কীভাবে আমি সারা জীবন পার করব? বলো তুমি? মা মাগো, পারলে আমাকে মাফ করে দিয়ো মা। একমাত্র তুমি ছিলে, যার সঙ্গে হাসতাম, রাগ হলে চিল্লাতাম, আবার অন্যের রাগও তোমার ওপর ঝাড়তাম। আহ, তখন কী যে শান্তি লাগত, কিন্তু এখন। মামুনি, বলারও কেউ নাই। নিজেকে এখন সান্ত্বনা দিচ্ছি, সবাইকে চলে যেতে হয়। চিন্তা কোরো না মামুনি, তোমার কাছে একদিন না একদিন আমিও আসব।’

চিত্রনায়িকা পূজা চেরীর মা ঝরনা রায় আজ বেলা ১১টায় নিজ বাসায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মা দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর ডায়াবেটিসও বেড়ে গিয়েছিল।