নায়ক সালমান শাহ নেই আজ ২৭ বছর হয়ে গেল। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে সমকালীন ঢাকাই চলচ্চিত্র অঙ্গনে বড় শূন্যতা তৈরি করে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। বেঁচে থাকলে তিনি কী হতেন, কোন উচ্চতায় দেশের চলচ্চিত্রকে নিয়ে যেতেন বা কেমন লাগত তাঁকে দেখতে, তা তাঁর অভিনীত ছবির সংখ্যা আর সাফল্যই বলে দেয়। সালমান তাঁর সুদর্শন, স্টাইলিশ ও অসাধারণ অভিনয়ের যে মায়া তৈরি করেছিলেন, তা আজও সবাইকে বেঁধে রেখেছে। এ এক অদৃশ্য মায়া, অন্তহীন ভালোবাসা, যা সালমানকে তাঁর মৃত্যুর ২৭ বছর পরও ছুঁয়ে যায়। অতীত হয়ে যাওয়া সালমান এ প্রজন্মের কাছে সবচেয়ে বেশি চর্চার নাম। এই দিনে তাঁর স্বজনদের একজন গাজী মাজহারুল আনোয়ার পুত্র সরফরাজ আনোয়ার উপল জানালেন ক্রিকেটার সালমানের কথা
ক্রিকেটার সালমান
চলচ্চিত্রে মাত্র চার বছরের অভিনয়জীবন সালমানের। এই সময়ে ২৭টি ছবিতে অভিনয় করে জ্বলজ্বলে এক তারকা তিনি। পর্দা কাঁপানো সালমান শাহ ক্রিকেটের মাঠও দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। অভিনয় শুরুর আগে নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট খেলতেন তিনি। বরেণ্য গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ারের বাসায় সম্প্রতি এক আড্ডায় তা জানিয়েছেন তাঁর পুত্র সরফরাজ আনোয়ার উপল।
উপল গল্পে গল্পে বলেন, ‘সালমান শাহকে আমি “ইমন ভাই” বলে ডাকতাম। তাঁর আম্মা নীলা চৌধুরীকে আমার আব্বু ডাকতেন “সিলেটি আপা” বলে। আমাদের বাসায় ইমন ভাইয়ের আব্বু–আম্মুর যাওয়া–আসা ছিল। আমি উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে পড়ার সময় তাঁর সঙ্গে দুই আসরে নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট খেলেছি। এটা অবশ্য আশির দশকের শেষ দিকে। সিটি কলেজ মাঠে আমাদের খেলা হতো। তিনি আমার অপজিশন। খুব ভালো পেস বোলার ছিলেন আর মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতেন। তবে তিনি আমাকে কোনোবারই আউট করতে পারেননি। আমি স্পিন বল করতাম, ব্যাটিংয়েও ভালো ছিলাম।’
সালমান শাহ নয়, ইমন!
খেলাধুলার বাইরে সালমান নজর কাড়তেন তাঁর স্টাইলিশ চালচলনে। উপলের কথায়ও তেমনটাই উঠে এসেছে। তিনি বললেন, ‘ইমন ভাইকে ওই সময় থেকেই খুবই স্টাইলিশ দেখেছি। বলতে পারেন, খুবই ট্রেন্ডি ছিলেন।’