ঈদের সিনেমার জন্য তামিল লাগবে, বোম্বে লাগবে? ক্ষুব্ধ সেলিমের প্রশ্ন

গিয়াস উদ্দিন সেলিম। ছবি: ফেসবুক

এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে গুণী নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’। প্রায় ৪০০ বছর আগের বাংলার লোককাহিনি ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’র ‘কাজলরেখা’ অবলম্বনে বানানো হয়েছে সিনেমাটি। অভিনয় করেছেন বর্তমান সময়ের আলোচিত এবং জনপ্রিয় অভিনেতা শরীফুল রাজ, মন্দিরা চক্রবর্তী, রাফিয়াত রশীদ মিথিলা, ইরেশ যাকেরসহ অনেকে।

আরও পড়ুন

তবে ‘কাজলরেখা’সহ ঈদে মুক্তি পাওয়া বেশ কয়েকটি সিনেমা দর্শকদের কাছে সমাদৃত হলেও প্রেক্ষাগৃহ পাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।  

শরীফুল রাজ এবং মন্দিরা চক্রবর্তীকে নিয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকার দেন নির্মাতা। সেটি প্রচার করেছে বেসরকারি টেলিভিশন সময়।

গিয়াস উদ্দিন সেলিম। ছবি: ফেসবুক

এ সময় কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে নির্মাতা বলেন, ‘আমাদের সিনেমাতে ২০টির বেশি গান আছে। এখন আমি কি বোম্বে সিনেমার মতো সিনেমা বানাব? বুঝতেছিনা, তামিল-তেলেগু বানালে ওটাই কি সিনেমা হবে? মানে বাংলার গল্প ঈদের সিনেমা হবে না! ঈদের সিনেমার জন্যে তামিল লাগবে, তেলেগু লাগবে, বোম্বে লাগবে? না কী?

কাজলরেখা বাংলার সিনেমা, আপামর মানুষ এটা উপভোগ করবেন। হলে যাঁরা যাঁরা এই সিনেমা দেখেছেন, একটা লোকও পাবেন না যে বলছেন, সিনেমাটা খারাপ লাগছে। একটা লোকও হল থেকে উঠে যাননি। ছবি শেষ হওয়ার পরও আস্তেধীরে ওঠেন। দৌড়ে পালান না! শুরুতে আমরা হল কম পেয়েছি। এটা স্বীকার করতে অসুবিধা নেই তো। একটা সিনেমা হল কম পেতেই পারে। কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা যে সিনেমা হল পাচ্ছি এবং সবার কাছে যখন সিনেমাটা পৌঁছাবে, তখন ফলাফলটা পাওয়া যাবে।

কাজলরেখা প্রসঙ্গে গিয়াসউদ্দিন সেলিম বলেন, ‘মনপুরার প্রায় ১৪ বছর পর বা এর মধ্যে আরও টুকটাক সিনেমা আমি করেছি। সে সময় প্রায় পাঁচ শ-ছয় শ হল ছিল। এখন হয়তো এক-দেড় শ হল। তো এই নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে অভিযোজনের চেষ্টা করছি।

‘কাজলরেখা’র দৃশ্য। ফেসবুক থেকে

সারা দেশে আমরা যদি যাই এবং বিভিন্ন হলে যদি আমাদের সিনেমা যায়, তখন আসলে বুঝতে পারব যে নতুন ভঙ্গিটা কী দাঁড়িয়েছে। সিনেমা হলগুলো যতটুকু কাভার করবে, এর বাইরে বিকল্প প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করছি। যেমন আমার শহর ফেনী। সেখানে হল নেই। কিন্তু সেখানে তো আমার কাজলরেখা মানুষ দেখতে চায়। এ ক্ষেত্রে আমরা ভালো সাউন্ড সিস্টেম এবং স্ক্রিন এবং প্রজেকশন ব্যবস্থার মাধ্যমে সিনেমা দেখানোর চেষ্টা করব। এটার পরিকল্পনা করছি।’