যুক্তরাষ্ট্র, কানাডায় মুক্তির জন্য প্রস্তুত ‘শনিবার বিকেল’

‘শনিবার বিকেল’ সিনেমার একটি দৃশ্য
ছবি : পরিচালকের সৌজন্যে

আগেই জানা গেছে, বাংলাদেশের সেন্সর বোর্ডে প্রায় চার বছর ধরে আটকে থাকা নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’ ১০ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে উত্তর আমেরিকায়। রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্টের মাধ্যমে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি দেবে সিঙ্গাপুরভিত্তিক পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান কন্টিনেন্টাল এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড।

সিনেমাটির মুক্তি উপলক্ষে ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রবাসী দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ লক্ষ করা গেছে। বেশ কিছু সিনেমা হলে অগ্রিম টিকিট শেষ পর্যায়ে। বিভিন্ন শপিং মল, বাঙালি কমিউনিটি, নিউইয়র্ক, জ্যামাইকা, টরন্টো শহরে দেখা মিলছে ‘শনিবার বিকেল’–এর পোস্টার। ছবিটির মুক্তি উপলক্ষে ৯ মার্চ সকালে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাবেন পরিচালক। তারপর দর্শকদের সঙ্গে হাজির হবেন সিনেমা হলগুলোতে।

র আগে আমার কোনো একটা কাজও যদি ভালো লেগে থাকে আমি বলব ‘শনিবার বিকেল’ দেখতে আসেন। সিনেমাটি যদি আপনাকে নাড়া দেয়, যদি সিনেমাটি দেখতে এসে ফিল করেন আপনাকে সিনেমাটি ভাবাচ্ছে, তাহলে দেশের অন্য দর্শকদের সিনেমাটি দেখতে বলবেন

ফারুকী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যত দূর জানতে পেরেছি প্রাথমিকভাবে সিনেমাটি দুই দেশের ৬০ থেকে ৭০টির বেশি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। সব অঙ্গরাজ্যেই আমরা মুক্তি দিতে চাই। আজ রাতে আমরা পূর্ণাঙ্গ তালিকাটি দর্শকদের জানাতে পারব। চমক হিসেবে নিউইয়র্কের জ্যামাইকা মাল্টিপ্লেক্সে ১০ ও ১১ মার্চের কয়েকটি শোতে আমি ও তিশা থাকছি। ভক্তদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেব। পর্যায়ক্রমে দুই দেশের বড় সিনেমা হলগুলোতে যাব।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
ছবি : সৈয়দ জাকির হোসেন

পরিচালক জানান, বাংলাদেশে মুক্তি না পেলেও থেমে থাকবে না শনিবার বিকেল–এর যাত্রা। পর্যায়ক্রমে ভারত, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বে একাধিক দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। যুক্তরাষ্ট ও কানাডার দর্শকদের উদ্দেশে ফারুকী বলেন, ‘এর আগে আমার কোনো একটা কাজও যদি ভালো লেগে থাকে আমি বলব “শনিবার বিকেল” দেখতে আসেন। সিনেমাটি যদি আপনাকে নাড়া দেয়, যদি সিনেমাটি দেখতে এসে ফিল করেন আপনাকে সিনেমাটি ভাবাচ্ছে, তাহলে দেশের অন্য দর্শকদের সিনেমাটি দেখতে বলবেন। তাহলে নর্থ আমেরিকাতে আমাদের যে বড় বাঙালি কমিউনিটি আছে, সেখানে অডিয়েন্স ব্রিজ আছে সেটা আমরা এস্টাবলিশ করতে পারব। ভবিষ্যতেও আমরা সেখানে নিয়মিত বাংলা ছবি মুক্তি দিতে পারব।’