সেদিন ফুঁপিয়ে কান্না করেছিলাম...

রুনা লায়লার সঙ্গে নাবিলা। ছবি: ফেসবুক থেকে

শৈশবের কিছু স্মৃতি আজীবন রয়ে যায়—যেগুলো কোনো গান, কোনো কণ্ঠ কিংবা কোনো মুখ দেখলেই হঠাৎ করে ফিরে আসে। ঠিক এমনই এক আবেগঘন স্মৃতির কথা জানিয়েছেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলা। রুনা লায়লার গান শুনলেই নাবিলা ফিরে যান তাঁর শৈশবের সৌদি আরবে কাটানো দিনগুলোতে।

নাবিলার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে জানা যায়, নাবিলার শৈশবের দিনগুলো কাটে পরিবারের সঙ্গে সৌদি আরবে। সেই সময় তেমন বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল না। তবে নিয়মিত তাঁরা শুনতেন বাংলা গান। তিনি লিখেছেন, ‘সৌদিতে থাকার সময়েই বিটিভি থেকে রেকর্ড করা রুনা লায়লার গানের অনুষ্ঠানের ভিডিও ক্যাসেট ছিল তাঁদের পরিবারের নিয়মিত বিনোদন।’

মাসুমা রহমান নাবিলা
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

সেই সময় মাত্র তিন-চার বছরের শিশু নাবিলা। শৈশবেই সেই গানগুলো নিয়মিত শুনতে থাকেন। একসময় তাঁর প্রিয় গানের তালিকায় জায়গা করে নেয় ‘শিল্পী আমি শিল্পী’ এবং ‘বন্ধু তিন দিন’ গানগুলো। বিশেষ করে ‘বন্ধু তিন দিন’ গানটি ছিল তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। এই গান ঘিরে রয়েছে মজার এক ঘটনা।

‘একবার এক আত্মীয়ের বাসায় ভিসিআর-এ “বন্ধু তিন দিন” গানটি বারবার শুনছিলাম। সেই গানের তালে চলছিল নাচানাচি। বারবার গানটি দীর্ঘ সময় ধরে শুনছিলাম। একপর্যায়ে অনেক সময় চলার কারণে ভিসিআর গরম হয়ে যায়। আমার আন্টি বাধ্য হয়ে ভিসিআর বন্ধ করে দেন। তারপর আমার সে যে কী কান্না। আমি “বন্ধু তিন দিন” গান শুনতে পারছিলাম না। এটাই ছিল কান্নার কারণ। আমার এখনো মনে আছে, সেদিন একেবারে ফুঁপিয়ে কান্না করেছিলাম।’

একটি আয়োজনে গান গাইছেন রুনা লায়লা
তানভীর আহাম্মেদ

শৈশবের সেই স্মৃতির কথা তুলে ধরে নাবিলা আরও লিখেছেন, রুনা লায়লাকে যখনই তিনি দেখেন, তাঁর ছোটবেলার দিনগুলো চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সম্প্রতি রুনা লায়লার একটি লাইভ পরিবেশনা শুনে মুগ্ধ হন তিনি। তাঁর কণ্ঠের ব্যাপ্তি ও শক্তি এখনো যে অটুট, তা নতুন করে অনুভব করেছেন অভিনেত্রী। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশি হিসেবে আমরা গর্ব অনুভব করি—কারণ, আমাদের একজন রুনা লায়লা আছেন। গতকাল (গত শুক্রবার) তাঁকে লাইভ গাইতে শুনেছি, আর তাঁর কণ্ঠে এখনো কী অসাধারণ বিস্তৃতি ও শক্তি আছে, তা দেখে-শুনে মুগ্ধ হয়েছি। আল্লাহ যেন তাঁকে দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন দান করেন।’

আরও পড়ুন
মাসুমা রহমান নাবিলা। ছবি: ফেসবুক থেকে

মাসুমা রহমান নাবিলা বিজ্ঞাপনচিত্র দিয়ে তাঁর অভিনয়জীবন শুরু করেন। পরে নাটক ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি দর্শকের পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়। এরপর ‘তুফান’ সিনেমা দিয়ে শাকিব খানের সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় আসেন। অভিনয়ের পাশাপাশি উপস্থাপনাতেও নাবিলা সমানভাবে জনপ্রিয়।