শাকিব, নিশো, সিয়াম, রাজ, শুভ—আইএমডিবিতে এগিয়ে কার সিনেমা
কোনো সিনেমা সম্পর্কে ধারণা নিতে আইএমডিবিতেই (ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ) বেশি ঢুঁ মারেন সিনেমাপ্রেমীরা। চলতি বছর মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশি সিনেমার মধ্যে আইএমডিবি রেটিংয়ে এগিয়ে কোন সিনেমা? এক হাজারের বেশি ভোট পেয়েছে যেসব সিনেমা, এ প্রতিবেদন তৈরিতে সেগুলোই কেবল বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
‘উৎসব’ (৮.৪)
পবিত্র ঈদুল আজহায় সবচেয়ে কমসংখ্যক সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল ‘উৎসব’। তানিম নূরের সে সিনেমাই একসময় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক হলে জায়গা করে নেয়। দর্শক পছন্দের এ সিনেমার আইএমডিবি রেটিং ৮.৪; ভোট দিয়েছেন ৩ হাজার দর্শক। এক হাজারের বেশি দর্শক সিনেমাটি দেখার জন্য আইএমডিবির ওয়াচ লিস্টে রেখেছেন।
জাহিদ হাসান, চঞ্চল চৌধুরী, অপি করিম, জয়া আহসান অভিনীত সিনেমাটিকে ১০-এ ১০ দিয়েছেন ৪৫ শতাংশ দর্শক। ৯ দিয়েছেন ৭০০ দর্শক, ৮ দিয়েছেন পাঁচ শতাধিক দর্শক। মাত্র ১ শতাংশ দর্শক সিনেমাটিকে ১০-এ ১ দিয়েছেন। সিনেমাটি এখনো ঢাকার ব্লকবাস্টার সিনেমাসে চলছে।
‘তাণ্ডব’ (৭.৭)
মুক্তির আগে থেকেই রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ ছিল অনেক বেশি। পোস্টার, টিজার ও ট্রেলারে ভিন্নভাবে শাকিব খানের উপস্থিতি নজর কেড়েছিল। মুক্তির পরও সিনেমাটি নিয়ে দর্শকের আগ্রহ থাকলেও কিছুদিনের মধ্যে সিনেমাটি পাইরেসির কবলে পড়ে। শাকিবের এই সিনেমার রেটিং ৭.৭।
সিনেমাটিকে ভোট দিয়েছেন সাড়ে প্রায় তিন হাজার দর্শক। দেখার ইচ্ছা পোষণ করেছেন (ওয়াচ লিস্ট) আরও দুই হাজারের বেশি দর্শক। সিনেমাটিকে ১০-এ ১০ দিয়েছেন ১৩ শতাংশ দশক। ৯ ও ৮ রেটিং দিয়েছেন যথাক্রমে ৭০০ ও ৫০০–এর বেশি দর্শক। মাত্র ১১৬ জন সিনেমাটিকে ১ রেটিং দিয়েছেন। ৮১ জন সমালোচক ও দর্শক সিনেমাটি নিয়ে রিভিউ লিখেছেন। সিনেমায় আরও অভিনয় করেছিলেন জয়া আহসান, সাবিলা নূরসহ অনেকে।
‘চক্কর’ (৭.৩)
‘চক্কর’ সিনেমায় ভিন্নভাবে পুলিশ চরিত্রে হাজির হন মোশাররফ করিম। থ্রিলার সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন শরাফ আহমেদ। সিনেমাটির আইএমডিবি রেটিং ৭.৩। ভোট দিয়েছেন দুই হাজার দর্শক। এর মধ্যে ২৮ শতাংশ দর্শক ১০-এ ১০ দিয়েছেন। ৯ দিয়েছেন ১৪ শতাংশ দর্শক। ১৯ শতাংশ দর্শক ৮ দিয়েছেন। ৫ শতাংশ দর্শক সিনেমাটিকে ১০-এ ১ দিয়েছেন। একটি খুনের রহস্য ঘিরে এ সিনেমা।
‘বরবাদ’ (৭)
তালিকায় আছে শাকিব খান অভিনীত আরেকটি সিনেমা ‘বরবাদ’। ঈদুল ফিতরে মুক্তির পর আলোচনায় আসে মেহেদী হাসানের প্রথম সিনেমাটি। শুরুতে রেটিংয়ে পিছিয়ে থাকলেও সিনেমাটির বর্তমান রেটিং ৭। ভোট দিয়েছেন ১৮ হাজার দর্শক। চলতি বছর সর্বাধিক ভোট পাওয়া বাংলাদেশি সিনেমা এটি। সিনেমাটির রিভিউ লিখেছেন ২৫০ জন। ১০-এ ১০ দিয়েছেন প্রায় ৫ হাজার দর্শক। ৯ দিয়েছেন ৫ হাজার জন। ৮ রেটিং দিয়েছেন ৯৮০ জন। ৭ দিয়েছেন ৬০০ জন। মজার ব্যাপার হলো, প্রায় ২ হাজার দর্শক এটিকে ১০-এ ১ দিয়েছেন। ১ রেটিং দেওয়া দর্শকের সংখ্যা কম হলে সিনেমাটির রেটিং আরও বাড়ত।
‘জংলি’ (৭)
চলতি বছর ‘জংলি’ সিনেমায় ভিন্ন লুকে হাজির হয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন সিয়াম আহমেদ। সিনেমাটিকে ভোট দিয়েছেন ৪ হাজারের বেশি দর্শক। এর মধ্যে ৩০ শতাংশের বেশি দর্শক সিনেমাটিকে ১০-এ ১০ দিয়েছেন।
সিনেমাটিকে পৃথকভাবে ৯, ৮ ও ৭ রেটিং দিয়েছেন পাঁচ শতাধিক করে দর্শক। সিনেমাটি একদমই ভালো লাগেনি বা ১০-এ ১ দিয়েছেন ৪০০ দর্শক। এম রাহিম পরিচালিত সিনেমাটিতে সিয়ামের নায়িকা ছিলেন শবনম বুবলী ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।
‘দাগি’ (৬)
চলতি বছরের আরেক আলোচিত সিনেমা আফরান নিশো অভিনীত ও শিহাব শাহীন পরিচালিত দাগি। সিনেমাটিকে মোট ভোট দিয়েছেন ১১ হাজর দর্শক; এর মধ্যে ১০–এ ১০ দিয়েছেন ৪ হাজার। ৯ দিয়েছেন দুই হাজার। ৮ দিয়েছেন সাড়ে পাঁচ হাজার। মোট ভোটের ২৫ শতাংশ দর্শক সিনেমাটিকে ১০-এ ১ ভোট দিয়েছেন।
এই ভোট ও রেটিংই সিনেমাটিকে গড় রেটিংয়ে পিছিয়ে দিয়েছে। না হলে সিনেমার রেটিং হতে পারত আরও বেশি। ‘বরবাদ’ ও ‘দাগি’ একই ঈদে মুক্তি পায়। অনেকে মনে করেন, শাকিব ও নিশো–ভক্তদের মধ্যে পাল্টাপাল্টির জের দুই সিনেমার রেটিংয়ে প্রভাব ফেলেছে।
তালিকায় জায়গা পাওয়া সব কটি সিনেমাই ঈদ উৎসবে মুক্তি পেয়েছে।