নতুন পরিচয়ে জ্যোতিকা

জ্যোতিকা জ্যোতি। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

এত দিন অভিনয়েই নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন জ্যোতিকা জ্যোতি। কিন্তু ইদানীং পছন্দসই গল্প পাচ্ছিলেন না। তাই বেশ কিছুদিন ধরেই অভিনয়ের বাইরে একটা কিছু করার কথা ভাবছিলেন। তা ছাড়া বাড়তি উপার্জনেরও দরকার ছিল। এর মধ্যেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে নিয়োগ পেলেন এই অভিনেত্রী। দুই বছর মেয়াদে শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

কয়েক দিন ধরে শিল্পকলা একাডেমিতে যাওয়া–আসার মধ্যে আছেন জ্যোতি। জানালেন, জীবনে প্রথম চাকরি। সবার সঙ্গে পরিচিত হতেই যাওয়া–আসা। গতকাল সোমবার বিকেলে তাঁর সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল, তখনো শিল্পকলা একাডেমিতেই ছিলেন তিনি। বললেন, ‘এত দিন কোন বিভাগে কাজ করব, তা জানা ছিল না। আজই বিভাগের বিষয়ে জেনেছি।’

আরও পড়ুন

জ্যোতিকা জ্যোতির কাজ কী হবে, সেটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সারা দেশে শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনাসম্পর্কিত যত কাজ হবে, সেসব দেখভালের দায়িত্ব আমার। যে দায়িত্ব আমার ওপর অর্পিত হয়েছে, সঠিক ও সুন্দরভাবে করার চেষ্টা করব। আশা করছি, নতুন এই পরিচয়ে সবার সেই আন্তরিক সহযোগিতা আমি পাব। সবাই এত আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবেন, ভাবিনি। তাঁদের বিশ্বাস, আমার ওপর যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা আমি সঠিকভাবে পালন করতে পারব।’

জ্যোতি বলেন, ‘অভিনয়টাই করব ভেবেছিলাম, কিন্তু মানসম্মত গল্প পাচ্ছিলাম না বলে অভিনয় কমিয়ে দিই। আর্থিক সংকটেও পড়ি। তারপর ভাবলাম, আপাতত কোনো একটা চাকরি করি। পাশাপাশি ভালো গল্পে অভিনয় করলাম। নিজে চলতে পারব আর অভিনয়েও আপস করা লাগবে না। শিল্পকলা একাডেমির চাকরিটা পেয়ে ভালোই হয়েছে। ছুটির দিনগুলোয় স্বচ্ছন্দে অভিনয় করতে পারব।’

২০০৪ সালে একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জ্যোতিকা জ্যোতির বিনোদন দুনিয়ায় পথচলা শুরু। এরপর টিভি নাটক ও চলচ্চিত্র নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করা এই অভিনেত্রী।

মায়া: দ্য লস্ট মাদার ছবিতে প্রাণ রায় ও জ্যোতিকা জ্যোতি

তাঁর অভিনীত কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো ‘আয়না, ‘নন্দিত নরকে’, ‘জীবনঢুলি’, ‘অনিল বাগচীর একদিন’, ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’, ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’, ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ইত্যাদি। বর্তমানে জ্যোতির হাতে আছে ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’, ‘অনাবৃত’ ও ‘আগুনপাখি’ চলচ্চিত্রের কাজ।