৪০ দফা ওয়ানটেকে বুবলী–আদরের ‘আধাখানা চাঁদ’
শবনম বুবলী ও আদর আজাদকে নিয়ে ‘পিনিক’ ছবির প্রথম দিনের শুটিং শুরু হয়। শেষটাও হয় দুজনের গানের দৃশ্যায়নে। গত বছরের শেষ দিকে শুরু হওয়া এই ছবির শুটিং কয়েক দফা হলেও বাকি ছিল ‘আধাখানা চাঁদ’ গানের শুটিং।
পরিচালক জাহিদ জুয়েল ভাবলেন, গানটির দৃশ্য ধারণ ওয়ানটেকে করবেন। নিজের চিন্তাভাবনা ছবির নায়ক–নায়িকার সঙ্গে শেয়ার করলেন। এরপর শুটিংয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়। মিরপুরের একটি শুটিংবাড়িতে সম্প্রতি ওয়ানটেকে গানটির দৃশ্য ধারণের কাজ শেষ হয়। এক–দুই দফায় নয়, ৪০ দফায় পুরো গানের শুটিং সুন্দরভাবে শেষ হয় বলে জানালেন পরিচালক।
‘পিনিক’ সিনেমার পুরো শুটিং একভাবে করা হলেও গানটি কেন ওয়ানটেক এ করতে হলো—এমন প্রশ্নে জাহিদ জুয়েল বললেন, ‘গানটা শোনার পরই মনে হয়েছে, ওয়ানটেকে শুটিং করলে ভালো হয়। গানের কথাগুলো আমাকে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। এটা মোটেও কোনো ধরনের চমক দেখাতে নয়, ঠিকঠাক দৃশ্যকল্প তৈরির প্রয়োজনে। ওয়ানটেকে শুটিং করতে গিয়ে আমাদের কিন্তু অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। বিশেষ করে চিত্রগ্রাহকের কষ্টটা ছিল অনেক বেশি। এক দিনে আমরা পুরো গানের শুটিং শেষ করি, ওয়ানটেক মোট ৪০ বারের সময় মনে হয়, যেমনটা চেয়েছিলাম, ঠিক তেমনটাই পেয়েছি। নায়ক–নায়িকাসহ সব কলাকুশলীর প্রতি কৃতজ্ঞতা, তাঁরা আমার চিন্তাকে সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করতে সহায়ক ছিলেন।’
জাহিদ আকবরের লেখা ‘আধাখানা চাঁদ’ গানটির সুর করেছেন জিয়া রাজ, গেয়েছেনও তিনি। সংগীত পরিচালনা করেছেন শান্ত শান। এই গানের কোরিওগ্রাফি করেছেন মোফাসসাল আল আলিফ। ওয়ানটেক শটে শুটিং অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বুবলী জানালেন, এটি তাঁর জন্য একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। বললেন, ‘পুরো টিম ছিল ভীষণ পরিশ্রমী ও মনোযোগী। গানের সঙ্গে একটানা শটে দৃশ্য ধারণের ক্ষেত্রে পরিচালকের ভাবনাকে যথাযথ ও সময়োপযোগী। শুটিং শেষে মনিটরে পুরো দৃশ্য দেখার পর মনে হয়েছে—এই গল্প ও গানের জন্য এমন উপস্থাপনাই দরকার ছিল। দর্শকেরা এর মাধ্যমে নতুন কিছু দেখতে পাবেন।’
একই প্রসঙ্গে অভিনেতা আদর আজাদ বলেন, ওয়ানটেক শটে কাজ করা মানেই বাড়তি চাপ ও দায়িত্ব। এখানে অভিনয়ের কোনো সুযোগ নষ্ট করার অবকাশ নেই। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চরিত্রে ডুবে থাকতে হয়। তাঁর মতে, এ ধরনের শুটিং শিল্পীদের জন্য যেমন চ্যালেঞ্জিং, তেমনি শেখারও বড় সুযোগ। পুরো টিমের সমন্বয় আর পরিচালকের স্পষ্ট নির্দেশনার কারণেই কাজটি সফলভাবে করা সম্ভব হয়েছে।
কক্সবাজার ও রামুতে ‘পিনিক’ ছবির শুটিং শুরু হয়। পরিচালক জানালেন, ‘পিনিক’ সাইকো থ্রিলার অ্যাকশন ঘরানার চলচ্চিত্র। আগামী বছরের ঈদুল ফিতরে ছবিটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের। এ বছরের শেষ দিকে ছবিটি সেন্সর জমা পড়বে। এর আগে বুবলী–আদর ‘তালাশ’ ও ‘লোকাল’ নামে দুটি ছবির শুটিং করেছেন।