চার সিনেমায় চার লুকে ফিরছেন সেই মুরাদ

আরমান পারভেজ মুরাদছবি : শিল্পীর ফেসবুক থেকে

একসময় টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র—দুই মাধ্যমে নিয়মিতই দেখা যেত আরমান পারভেজ মুরাদকে। অভিনয় দিয়েই দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। ‘ঘানি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান তিনি। সাফল্যের পরও ধীরে ধীরে অভিনয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েন মুরাদ। পর্দায় তাঁর উপস্থিতি কমে আসে, নতুন কাজ কম করতে দেখা যায় তাঁকে। গতকাল জানালেন, ‘কাজ করতে চাই। নিয়মিত থাকতে চাই। কাজ পেলেই কাজ করব, এটাই ভালোবাসি।’

আরমান পারভেজ মুরাদ
ছবি : শিল্পীর ফেসবুক থেকে

বিরতির পর আবারও পর্দায় ফিরছেন মুরাদ। জানালেন, একসঙ্গে তিনটি নতুন ছবির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। দীর্ঘদিন পর এমন ব্যস্ততা তাঁকে যেমন উচ্ছ্বসিত করছে, তেমনি নতুন চরিত্রগুলোও তাঁর জন্য বিশেষ অভিজ্ঞতা হয়ে উঠছে। আজ বুধবার তিনি বলেন, ‘কাছাকাছি সময়ে তিনটি ভিন্ন ঘরানার সিনেমার প্রস্তাব পেলাম। তিনটিতেই চরিত্র আলাদা, ব্যতিক্রমী। দর্শকের জন্যও চমক থাকবে।’

আরমান পারভেজ মুরাদ
ছবি : শিল্পীর ফেসবুক থেকে

গত মাসেই মুরাদ শুরু করেছেন সাকিব ফাহাদ পরিচালিত ‘সোলজার’ ছবির শুটিং। অ্যাকশনধর্মী এই ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। চলতি মাসে দুটি নতুন ছবির কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি। এর একটি এন রাশেদ চৌধুরীর ‘সখী রঙ্গমালা’, অন্যটি রাজীব সালেহীন পরিচালিত ‘রবি ইন ঢাকা’। দুই পরিচালকই নতুন ভাবনা ও গল্প নিয়ে কাজ করছেন বলে জানালেন মুরাদ। তিনি মনে করেন, দর্শক এখন বৈচিত্র্য চান, আর এই তিন ছবিতে বৈচিত্র্যের অভাব নেই।

তিনটি ছবির তিন চরিত্রই আলাদা প্রকৃতির—এ কথাই জানালেন আরমান পারভেজ মুরাদ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘সোলজার’ ছবিতে স্পাই এজেন্ট দলেন প্রধান, ‘রবি ইন ঢাকা’তে গোয়েন্দা কর্মকর্তা আর ‘সখী রঙ্গমালা’ ছবিতে জমিদার। কথা প্রসঙ্গে মুরাদ বলেন, ‘আমি সব সময় চেষ্টা করি চরিত্র নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে। এই তিন ছবিতে সেই সুযোগ পেয়েছি। যাঁরা সিনেমাগুলো দেখবেন, তাঁরা চরিত্রগুলোর ভিন্নতা খুব স্পষ্টভাবেই বুঝতে পারবেন।’

আরমান পারভেজ মুরাদ
ছবি : প্রথম আলো

নতুন তিন ছবির ব্যস্ততার পাশাপাশি মুক্তির অপেক্ষায় আছে মুরাদের আরেকটি চলচ্চিত্র—‘জলকিরণ’। এইচ আর হাবিব পরিচালিত ছবিটিতে তিনি অভিনয় করেছেন এক নির্বাক বিজ্ঞানীর চরিত্রে। অসাধারণ একটি অভিজ্ঞতা ছিল বলেই জানান তিনি। সংলাপবিহীন চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে শরীরী ভাষা, চোখের অভিব্যক্তি ও নীরব আবেগ প্রকাশের ওপর ভরসা করতে হয়েছে তাঁকে।