মাহির ছেলে ফারিশের জন্মদিনে ৩৫ লাখ টাকার গাড়ি উপহার

ছেলেকে ৩৫ লাখ টাকা দামের গাড়ি উপহার দিলেন তিনিমাহির সৌজন্যে

২৮ মার্চ জন্মের এক বছর পূর্ণ হলো ঢাকাই ছবির নায়িকা মাহিয়া মাহির ছেলে ফারিশের। নানা আয়োজনে ছেলেকে নিয়ে দিনটি পালন করলেন মা মাহি। বিশেষ দিনে ছেলেকে ৩৫ লাখ টাকা দামের গাড়ি উপহার দিলেন তিনি। জন্মদিনের সন্ধ্যায় তাঁর উত্তরার বাসায় ছেলেকে সামনে নিয়ে গাড়িটি উন্মোচন করেন মাহি।
এ ব্যাপারে মাহি বলেন, ‘এটি আমার সন্তানের জন্য বড় সারপ্রাইজ। যেটি ও বড় হলে বুঝতে পারবে। আমার জীবনে যত ইভেন্ট আছে, যত আয়োজন আছে, বিশেষ করে আমার জন্মদিন পালন, মা–বাবার জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী—সব ছাপিয়ে গেছে আমার ফারিশের কাছে। ফারিশ আমার প্রতি সেকেন্ডের অক্সিজেন। তাকে ঘিরে আমার প্রতিদিন বেঁচে থাকা, সুখ, দুঃখ, আনন্দ—সবকিছুই।’

ছেলেকে নিয়ে ঢাকাই ছবির এই নায়িকার কথা, ‘আমার যা কিছু আছে, সবই আমার ফারিশের জন্য। আমি যত দিন বাঁচব, তত দিনই তাঁর জন্মদিনটা স্পেশাল করতে চাই। বড় হয়ে সে যেন বুঝতে পারে তার জন্য তার মা কী না করেছে।’

জন্মদিনের সন্ধ্যায় তাঁর উত্তরার বাসায় ছেলেকে সামনে নিয়ে গাড়িটি উন্মোচন করেন মাহি
মাহির সৌজন্যে

ফারিশের জন্মদিনের প্রথম প্রহর শুরু হয় এতিমখানার শিশুদের সঙ্গে। মাহি বলেন, ‘রাত ১২টা ১ মিনিটে আমাদের এলাকার একটি এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে ফারিশের কেক কেটেছি। ওখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছি। দোয়ার অনুষ্ঠান করেছি। এরপর এদিন সন্ধ্যায় বাসার সদস্যরা মিলে কেক কেটেছি।’

এ অভিনেত্রী মনে করেন, গাড়ি পেয়ে ফারিশ অনেক খুশি। তিনি বলেন, ‘ও তো এখনো বুঝতে শেখেনি। কিন্তু বোঝা যায় গাড়ির প্রতি তার দুর্বলতার ব্যাপারটি। যখন আমরা গাড়ি করে কোথাও ঘুরতে যাই, তখন ও স্টিয়ারিং ধরে দাঁড়িয়ে যায়। ড্রাইভারকে বসতেই দিতে চায় না। স্টিয়ারিং খালি ঘোরাতে থাকে। বুঝতে পারি গাড়িতে ও খুব আনন্দ পায়। ফারিশকে দেওয়া গাড়িতে ফারিশসহ আমরা সবাই গতকাল ঘুরেছি।’

আরও পড়ুন
রাকিব ও মাহি
ছবি: কোলাজ

এদিকে মাহি ও রাকিব সরকারের বিবাহবিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়নি এখনো। তবে অনেক দিন ধরে দুজন আলাদা থাকছেন। ছেলে ফারিশের জন্মদিনে আগের ঘরের এক ছেলে ও মেয়েকে সঙ্গে করে মাহির মায়ের বাসায় এসেছিলেন রাকিব সরকার।

আরও পড়ুন

মাহি বলেন, ‘ফারিশের জন্য একটি স্বর্ণের চেইন, একটি ছোট গাড়ি ও পাঞ্জাবি এনেছিলেন রাকিব। গতকাল সন্ধ্যার পর প্রথমে ফারিশকে নিয়ে রাকিব কেক কাটেন। এরপর আমাদের পরিবারের সদস্যরা মিলে কেক কাটি। ফারিশকে নিয়ে অনেকক্ষণ সময় কাটিয়ে গেছেন রাকিব।’