গাছ লাগানোর উদ্যোগে এলে জানাবেন...

জান্নাতুল পিয়াপ্রথম আলো

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা! রাস্তা কি বাসাবাড়ি—সবখানেই যেন ছুটছে আগুনের হলকা। অতিষ্ঠ জনজীবন। গরমের তীব্রতায় বেড়েছে বিদ্যালয়ের ছুটিও। পৃথিবীজুড়েই পড়ছে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ংকর প্রভাব। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী অপরিকল্পিত নগরায়ণ, গাছপালা কমে যাওয়া। তীব্র গরমে নাজেহাল হয়ে আবারও বৃক্ষরোপণের তাগিদ দিচ্ছে সচেতন মহল। বাদ পড়ছেন না তারকারাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিচ্ছেন সচেতনতামূলক পোস্ট। তেমনই একজন মডেল, উপস্থাপক, অভিনেত্রী, আইনজীবী ও ব্যবসায়ী জান্নাতুল পিয়া।

জান্নাতুল পিয়া
ছবি : সুমন ইউসুফ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে পিয়া বলেন, ‘একটা ডিজে পার্টিতে ডাকলে অনেকেই আসবেন জানি; গাছ লাগানোর উদ্যোগে এলে জানাবেন। এই অসহনীয় তাপমাত্রা কোনো আকস্মিক বিষয় নয়, বরং গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের প্রভাব। এটির বৃদ্ধি প্রাথমিকভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো এবং বন উজাড়ের মতো আমাদের কার্যকলাপের কারণে ঘটে। এর পরিণতির মধ্যে রয়েছে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এবং আরও ঘন ঘন চরম আবহাওয়ার ঘটনা।
‘পরিচ্ছন্ন শক্তি ব্যবহার করে, আরও গাছ লাগানো এবং বর্জ্য কমানোর মাধ্যমে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারি। আসুন, আমরা পৃথকভাবে কমপক্ষে ১০টি গাছ লাগানোর চেষ্টা করি। যে কেউ এই উদ্যোগে আমার সাথে যোগ দিতে চান, আমাকে জানান। পিয়ার এ পোস্টে মুহূর্তেই ইতিবাচক মন্তব্যের বন্যা বইতে শুরু করে। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন তাঁর ভক্ত–অনুরাগীরাও। এ উদ্যোগে নিজেকে শামিল করার প্রক্রিয়াটিও জানতে চাইছেন সবাই।’

জান্নাতুল পিয়া
সংগৃহীত

২০০৭ সালে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ‘মিস বাংলাদেশ ২০০৭’ হয়েছিলেন পিয়া। কলেজে পড়ার সময়ই বড় বড় সব ফ্যাশন হাউস ও ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। নিজের স্বপ্নপূরণে হয়েছেন আইনজীবীও। ২০১৩ সালে ইন্ডানিয়ানা প্রিন্সেস মুম্বাইতে সেরা সুন্দরীর মুকুটও ওঠে তাঁর মাথায়।