২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

চলে গেলেন ‘মেঘের অনেক রং’ সিনেমার পরিচালক

হারুনর রশীদ নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের কাহিনিনির্ভর অন্যতম সিনেমা ‘মেঘের অনেক রং’ ১৯৭৬ সালে মুক্তি পায়কোলাজ

ঢালিউডে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের কাহিনিনির্ভর অন্যতম সিনেমা ‘মেঘের অনেক রং’–এর পরিচালক হারুনর রশীদ মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই পরিচালক। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। প্রথম আলোকে এই পরিচালকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর মেয়ে রোমানা রশীদ।

রোমানা রশীদ জানান, আজ শুক্রবার বাদ জুমা বাড্ডা লিংক রোডের বাড়ির সামনের মসজিদে হারুনর রশীদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে স্ত্রীর কবরে সমাহিত করা হবে। রোমানা আরও বলেন, ‘আব্বা গত ২৭ দিন অসুস্থ। ব্রেন স্ট্রোক করেছিলেন। এরপর আব্বাকে লাইফ সাপোর্টে দেওয়া হয়। পরশু দিনও আব্বা আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। গতকাল রাতে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।’

‘মেঘের অনেক রং’ পরিচালক হারুনর রশীদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। বাবার হাসপাতালে ভর্তির খবরে ছেলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে এসেছেন।
১৯৬৩ সালে পরিচালক সালাউদ্দিনের সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে বশীর হোসেন, জহির রায়হানের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। ঢালিউডে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের কাহিনিনির্ভর অন্যতম সিনেমা ‘মেঘের অনেক রং’ ১৯৭৬ সালে মুক্তি পায়। ওই বছরে সেরা সিনেমা, পরিচালক, সংগীত পরিচালক (ফেরদৌসী রহমান), চিত্রগ্রাহক (হারুন অর রশিদ) ও শিশুশিল্পী (মাস্টার আদনান) বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় সিনেমাটি।

রোমানা রশীদ জানান, তাঁর বাবা হারুনর রশীদ ১৯৪০ সালের ১৫ মার্চ কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। উঠতি বয়সে ঢাকায় আসেন। এরপর একটি সময় চলচ্চিত্র নির্মাণে মনোযোগী হন, ‘আমার বাবার বন্ধুদের মধ্যে ছিলেন জহির রায়হান, খান আতাউর রহমান ও সালাউদ্দিন জাকী আঙ্কেলরা। আব্বার পরিচালিত ছবির মধ্যে আছে “মেঘের অনেক রং”, “আমরা তোমাদের ভুলব না”, “গৌরব”, “রঙিন গুনাই বিবি”, “ধনবান”, “অসতী”।’ সহকারী পরিচালক হিসেবে হারুনর রশীদ কাজ করেছেন ‘সুয়োরানী দুয়োরানী’, ‘কাঞ্চনমালা’ ও ‘রূপবান’ ছবিতে।