রাজ্জাক ও মামুন স্মরণে...

চিত্রনায়ক রাজ্জাক এবং পরিচালক ও অভিনেতা আবদুল্লাহ আল–মামুনের প্রয়াণদিবস আজকোলাজ

চিত্রনায়ক রাজ্জাক এবং পরিচালক ও অভিনেতা আবদুল্লাহ আল–মামুনের প্রয়াণদিবস আজ। বরেণ্য এই দুই শিল্পীর স্মরণে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে চ্যানেল আই। সকালে থাকবে নায়ক রাজ্জাক অভিনীত ও আবদুল্লাহ আল–মামুন পরিচালিত চলচ্চিত্রের গান। শিল্পী থাকবেন ইমরান খন্দকার, শুভ ও শানু। দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে ‘তারকা কথন’-এ উপস্থিত থাকবেন অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ ও ডলি জহুর। দুপুরে ‘এবং সিনেমার গান’-এ দেখানো হবে নায়ক রাজ্জাক অভিনীত চলচ্চিত্রের গান। বেলা ৩টা ৫ মিনিটে প্রচারিত হবে কাজী জহির পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘অবুঝ মন’। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে শাইখ সিরাজের গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও উপস্থাপনায় নায়ক রাজ্জাককে নিয়ে ডকু ফিল্ম ‘রাজাধিরাজ’।

তারকা কথন’-এ উপস্থিত থাকবেন ডলি জহুর ও অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ
চ্যানেল আই

রাজ্জাক ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি ভারতের কলকাতা শহরের নাকতলায় জন্মগ্রহণ করেন। বেড়ে ওঠাও সেখানে। স্বাধীনতার আগে ১৯৬৪ সালে ভারত ছেড়ে স্ত্রী লক্ষ্মী ও সন্তান বাপ্পারাজকে নিয়ে অনিশ্চিত গন্তব্য ঢাকায় আসেন। পরবর্তী সময়ে কষ্ট ও মেধার অসামান্য সমন্বয়ে নিজেকে চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠিত করেন নায়করাজ হিসেবে। ১৯৬৬ সালে ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ঢাকাই ছবিতে দর্শকনন্দিত হন কিংবদন্তি এই অভিনেতা। তিনি একাধারে অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। সত্তরের দশকেও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের প্রধান অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ২০১৭ সালের এই দিনে, অর্থাৎ ২১ আগস্ট মারা যান তিনি।

আবদুল্লাহ আল–মামুন
ফাইল ছবি

অন্যদিকে অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক, চলচ্চিত্র পরিচালক আবদুল্লাহ আল–মামুন ২০০৮ সালের এই দিনে না–ফেরার দেশে পাড়ি জমান। বাংলাদেশের মঞ্চ ও টেলিভিশন নাটক, চলচ্চিত্র, শিল্প-সংস্কৃতিকে প্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ছিল অগ্রণী ভূমিকা। সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশ ও সংরক্ষণ আন্দোলনে নেতৃত্বের অগ্রভাগে ছিলেন তিনি। আবদুল্লাহ আল–মামুন ১৯৪২ সালের ১৩ জুলাই জামালপুরের আমলাপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। আবদুল্লাহ আল–মামুন তাঁর পেশাগত জীবন শুরু করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রযোজক হিসেবে। পরবর্তীকালে পরিচালক, ফিল্ম ও ভিডিও ইউনিট (১৯৬৬-১৯৯১), মহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমি (২০০১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অসংখ্য নাটক রচনায় যেমন নিজের প্রতিভা আর শক্তির পরিচয় দিয়েছেন আবদুল্লাহ আল–মামুন, তেমনি নিজের অপরিমেয় ক্ষমতার প্রমাণ রেখেছেন তাঁর নির্দেশনা আর অভিনয়েও। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সুবচন নির্বাসনে’, ‘এখন দুঃসময়’, ‘সেনাপতি’, ‘এখনও ক্রীতদাস’, ‘কোকিলারা’, ‘দ্যাশের মানুষ’, ‘মেরাজ ফকিরের মা’, ‘মেহেরজান আরেকবার’ প্রভৃতি।নাট্যসংগঠন থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন। নাটকের সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ করেছেন চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিয়াল। শহীদুল্লা কায়সারের উপন্যাস ‘সংশপ্তক’ নিয়ে ধারাবাহিক নাটকের পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবে আবদুল্লাহ আল–মামুন পান প্রবাদপ্রতিম খ্যাতি। তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘সারেং বৌ’, ‘সখী তুমি কার’, ‘এখনই সময়’, ‘জোয়ার ভাটা’, ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’।