সবাইকে দেখি প্রথম আলো আগে খোঁজে

দুই যুগ পার করছে প্রথম আলো। ১৯৯৮ সালে যাত্রা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠান। এর ঠিক এক বছর আগে অভিনয়ে অভিষেক ঘটে চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার। সে হিসাবে পূর্ণিমার পেশাদার অভিনয়জীবন ও প্রথম আলোর পাশাপাশি বেড়ে উঠেছে। অভিনয়জীবনের এই পথচলায় প্রথম আলোকে কীভাবে পাশে পেয়েছেন, তা-ই জানালেন পূর্ণিমা।

দিলারা হানিফ পূর্ণিমাপ্রথম আলো

১৯৯৭ সালে আমার প্রথম চলচ্চিত্র এ জীবন তোমার আমার মুক্তি পায়। পরের বছর যাত্রা শুরু করে প্রথম আলো। শুরু থেকেই আমরা ছিলাম। অ্যাওয়ার্ড শো নিয়ে যদি কথা বলি, প্রথম বছরে একটা পারফরম্যান্স করেছিলাম। এরপর আবার কখনো কখনো করেছি। প্রতিবছর একটা করে ছবিতে মনোনয়নও পেতাম। কোনো বছরেই অবশ্য অ্যাওয়ার্ড পেতাম না। (হাসি)। তবে অনুষ্ঠান মিস করতাম না। অনুষ্ঠানে যেতাম, আশা ভরসা নিয়ে যেতাম, হয়তো পুরস্কার পাব। তখন তো আর বুঝতাম না, ভাবতাম যে আমি কেন পুরস্কার পাব না। বড় অভিনেত্রীদের ছবির কাছে যে আমি শিশুই ছিলাম, এটা ভাবতাম না। পুরস্কার পাওয়ার কথা না। মনোনয়ন যে পেতাম, এটাই অনেক বড় কিছু ছিল। এই ব্যাপারগুলো আমার অভিনয়ের চলার পথে উৎসাহ জোগাত, অনুপ্রাণিত করত।

দিলারা হানিফ পূর্ণিমা

প্রথম আলো পত্রিকা যাত্রা শুরুর কিছুদিনের মধ্যে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে যায়। যেভাবে পূর্ণিমার আলো ছড়ায়, সেভাবে প্রথম আলোর নামটাও ছড়িয়ে গেল। অল্প সময়ের মধ্যে দেশের নাম্বার ওয়ান পত্রিকা হয়ে গেল। পাঠকের জায়গা থেকে আস্থা হয়ে উঠল পত্রিকাটি। মেরিল–প্রথম আলো অ্যাওয়ার্ড শোর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিভিন্ন শাখা যেমন সংগীত, নাটক, চলচ্চিত্র, উপস্থাপনা, ব্যান্ড সংগীত—সব বিভাগকে পৃষ্ঠপোষকতা করত। যদিও আস্তে আস্তে এখন কমিয়ে দিয়েছে।
এখনো এবং তখনো, প্রথম আলোয় খবর পড়া মানে সঠিকটা জানা। সত্যটা জানা। একটা বিশ্বসযোগ্যতা প্রথম আলোর কাছ থেকে আমরা বরাবরই পাই। যেকোনো খবর অনেক জায়গায় এলেও ঘুরফিরে পরে প্রথম আলোতে এসেছে কি না দেখি। এই বিশ্বাসযোগ্যতা প্রথম আলো অর্জন করেছে দারুণভাবে। আমাদের যাত্রায় আমরা যেমন ছোট থেকে বড় হয়েছি, তেমনি শুরু থেকে বড় হতে হতে এখন প্রথম আলোও অনেক বড় একটা প্রতিষ্ঠান।

নকশা বিয়ে উৎসবে পূর্ণিমা
ফাইল ছবি

শুধু আমাদের অঙ্গনের কথা বললে বলতে হয়, উঠতি নায়িকা থেকে শুরু করে, গান, নাটক, নৃত্য, মঞ্চ—সব ক্ষেত্রের সম্ভাবনাময় যারা, তারা সবাই সব সময়ই প্রথম আলোর পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে। তবে বিনোদন অঙ্গনের নেতিবাচক খবর, স্ক্যান্ডাল, সমালোচনা—প্রথম আলো লুফে নেয় না। পত্রিকা মানে আলোচনা, সমালোচনা সব নিয়ে। প্রথম আলো তারকাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারে বরাবরই সচেতন থাকে।

দিলারা হানিফ পূর্ণিমা

পেশাগত কাজে ভ্রমণে গেলে একটা ব্যাপার খুব ভালো লাগে। সকালের ফ্লাইটে যখন ওঠি, তখন দেখি কেবিন ক্রুরা যাত্রীদের পত্রিকা দিতে থাকেন, বেশির ভাগ বলতে থাকে, প্রথম আলো আছে, প্রথম আলো আছে? এটা শুনতেও ভালো লাগে। সবাইকে দেখি প্রথম আলো আগে খোঁজে। প্রথম আলোকে নিয়ে মানুষের এমন আগ্রহ মুগ্ধ করে। আমরা যারা নিজেদের প্রথম আলোর একজন মনে করি, আমাদেরও তারা নিজেদের মনে করে—সে হিসেবে এমন ঘটনার সাক্ষী হওয়াটা নিঃসন্দেহে আনন্দের।