এটা আমরা কেউ আশাই করিনি: মিশা সওদাগর

মিশা সওদাগরছবি : সংগৃহীত

শিল্পী সমিতির নির্বাচনপরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা শপথ গ্রহণ। গত মঙ্গলবার ছিল নবনির্বাচিত কমিটির সেই আনুষ্ঠানিকতা। সেদিনই তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে নতুন কমিটি। সাংবাদিকদের সঙ্গে চড়াও হয়ে ওঠেন কমিটির সদস্যরা। আহত হন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক, যা নিয়ে এখনো উত্তপ্ত এফডিসি। মানববন্ধন থেকে শুরু করে তদন্ত কমিটির বৈঠকেও হালে পানি পাচ্ছে না বিষয়টি। হামলার ঘটনায় বড় অভিযোগের তির অভিনেতা জয় চৌধুরীর দিকে। কারণ, দুঃখ প্রকাশ করতে গিয়ে আবারও বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান তিনি। সরাসরি দুঃখ প্রকাশ না করে অন্যদের হয়ে ক্ষমা চান তিনি, যা মানতে পারছেন না সাংবাদিকেরা। ঘটনার পরপর লিখিত চিঠি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেও এবার ক্যামেরার সামনে দুঃখ প্রকাশ করলেন সদ্য নির্বাচিত কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর।
গণমাধ্যমের সামনে এসে সভাপতি বলেন, ‘যে অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, এটা নিয়ে শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি। এটা আমরা কেউ আশাই করিনি। এত সুন্দর একটা শপথের অনুষ্ঠান হলো, আপনারা সেখানে সবাই ছিলেন। সুন্দরভাবে যখন সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলো, তখন রুমে গিয়ে বসলাম। তখন বাইরে শুনলাম, রীতিমতো যুদ্ধ হয়ে গেল। যেখানে আমার বেশির ভাগ সাংবাদিক ভাই প্রচুর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এরপর আমরা ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি বসেছি।’

মিশা সওদাগর
সংগৃহীত

এ সময় তদন্ত কমিটির প্রধান আহ্বায়ক বলেন, ‘সবাই একমত হয়েছি যে শিল্পী সমিতি যেসব সাংবাদিক আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে, এটা প্রধান পয়েন্ট। দ্বিতীয় পয়েন্ট, সমিতির অফিস সহকারী জামালকে এক মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

ডিপজল ও মিশা। ছবি: ফেসবুক

তৃতীয় পয়েন্ট, যাঁদের নাম এসেছে, যাঁরা সরাসরি এই পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পৃক্ত—জয় চৌধুরী, শিবা শানু, আলেকজান্ডার, সুশান্ত—এর মধ্যে তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে যদি এ রকম কোনো কাজ করেন, তাহলে তাঁদের সদস্যপদ স্থগিত করা হবে। পাশাপাশি আগামী এক মাসের জন্য শিল্পী সমিতিতে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং জয় চৌধুরী ক্যামেরার সামনে দুঃখ প্রকাশ করবেন।’