তিশাকে কোথায় বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ফারুকী, তাই জানালেন

ভালোবেসে বিয়ে করেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও অভিনিয়শিল্পী নুসরাত ইমরোজ তিশা। আজ দাম্পত্য জীবনের ১৩ বছর পূর্তি। এই দিনে তাঁদের দুজনকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। তাঁরা দুজনও বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে একটি ফটোশুটে অংশ নিয়েছেন। একনজরে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক বিবাহবার্ষিকীর ফটোশুটে
১ / ৫
কে প্রথম ভালোবাসার কথা বলেছিলেন—তিশা নাকি ফারুকী? জানা গেল, ফারুকী প্রথম তিশাকে জানিয়েছিলেন তাঁর ভালোবাসার কথা। কাজের সূত্রে তিশা তখনো ফারুকীকে ‘ভাইয়া’ বলেই সম্বোধন করতেন। ফারুকী প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমার এবং তিশার প্রেমের ঘটনার কিছু প্রতিফলন আছে “সিক্সটি-নাইন” নাটকে। যেমন তিশাকে সরাসরি ভালোবাসার কথা জানানোর আগে ইঙ্গিত দিয়ে বলতাম, তিশা, তোমার যদি কোনো বড় বোন থাকত, তাহলে আমি তাকে বিয়ে করতাম।’ জবাবে তিশাও দুষ্টুমি করে বলতেন, ‘হ্যাঁ, ভাইয়া, আমার কোনো বড় বোন থাকলে আপনার মতো একজনের সঙ্গেই বিয়ে দিতাম।’ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী একদিন সাহস করে তিশার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। এরপর বিয়ে। তারপর থেকে তাঁরা একসঙ্গে পথ চলছেন
ফেসবুক থেকে
২ / ৫
বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে নিজের ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বিয়ের আগমুহূর্তের কিছু কথাও তুলে ধরেন। ফারুকী লিখেছেন, ‘জীবন কখনো কখনো নিজের মতো করেই স্ক্রিপ্ট লেখে। আমাদের বিয়ের ১৩ বছর পূর্তিতে তিশা পরিকল্পনা করল—আমরা বিয়েতে যে পোশাক পরেছিলাম, সেটা পরেই ১৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটা ফটোশুট করব। সেই একই মানুষ, একই পোশাক—শুধু সময়টা এগিয়ে গেছে, আর আমাদের জীবনে এসেছে ইলহাম’
ফেসবুক থেকে
আরও পড়ুন
৩ / ৫
পরিকল্পনা অনুযায়ী দুজনে ভাবছিলেন কোথায় যাওয়া যায়। এর মধ্যে জায়গা ঠিক হয়। ফারুকী বলেন, ‘আমরা ভাবছিলাম কোথায় যাওয়া যায়! ঢাকার কাছেই হিজল তমাল নামে একটা পিকনিক স্পট আছে। ওখানেই গেলাম। গিয়েই খেয়াল হলো, এর মালিকের বাড়িতেই “নিখোঁজ সংবাদ” নাটকের শুটিং হয়েছিল। আর সেই স্পটেই আমি তিশাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আজকে ১৩ বছর পর সেখানেই আসাটা মহাজাগতিক এক পরিকল্পনাই বটে’
ফেসবুক থেকে
৪ / ৫
কথায় কথায় ফারুকী বললেন, ‘১৩ বছরে আমরা অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়েছি। বাচ্চা নেওয়া নিয়ে অনেক কিছুর মুখোমুখি হইছি। কিন্তু নিঃসন্দেহে এই জার্নিটা ছিল অসাধারণ। তোমার (তিশা) কাছে কৃতজ্ঞতার তালিকাটা অনেক বড়। কত বড় বড় বিষয় থেকে শুরু করে তুচ্ছ বিষয়ে তোমার ওপর নির্ভর করি। তোমাকে ছাড়া বিদেশে গেলে এখনো রাতের বেলা বাতি নিভাইতে পারি না, ভয় পাই। ভাবি একা একা যাব কীভাবে এই দুনিয়া থেকে? অথচ কী আশ্চর্য, আমরা একা একাই বড় হয়েছিলাম এই দুনিয়ায়! আরও কত কিছু বলতে মন চায়। তার চেয়ে বরং বলি, লাভ ইউ তিশা। হ্যাপি অ্যানিভার্সারি টু আস’
ফেসবুক থেকে
৫ / ৫
বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে ফটোশুটের একাধিক স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করে তিশা লিখেছেন, ‘২০১০–এর এই দিনটাতে আমাদের বিয়ে হয়। আজ ২০২৩। দেখতে দেখতে তেরোটা বছর এক সাথে কাটিয়ে দিলাম। তাই ভাবলাম, একই পোশাকে, একই মানুষের সাথে আবার বিয়ে হোক। জীবনে যোগ হয়েছে শুধু ইলহাম। আর বিয়োগ হয়েছে সময়। বাকি সবকিছু আগের মতোই আছে। ধন্যবাদ তোমাকে, এত বছর আমাকে সহ্য করার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ। অনেক ভালোবাসি তোমাকে। হ্যাপি ম্যারেজ অ্যানিভার্সারি’
ফেসবুক থেকে