বাংলাদেশের ‘দ্য ম্যাজিক্যাল মেন’-এ আলোচিত প্রযোজক

বিপ্লব সরকার। ছবি: পরিচালকের সৌজন্যে

তরুণ নির্মাতা বিপ্লব সরকারের সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন এশিয়ার আলোচিত প্রযোজক ফ্রান বর্জিয়া। সিঙ্গাপুরের এই প্রযোজক দীর্ঘ প্রায় দুই দশক সিনেমা প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত। এশিয়ার বেশির ভাগ তরুণ নির্মাতার সিনেমার প্রযোজক হিসেবে তিনি আলোচিত। তাঁর হাত ধরে উঠে এসেছেন অনেক তরুণ। এবার তিনি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সিনেমা ‘দ্য ম্যাজিক্যাল মেন’-এর প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হলেন। একই সঙ্গে দেশের এই সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন ফ্রান্সের আরেক প্রযোজক ফ্রঁসোয়া ডি-আর্টেমেয়ার। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিকল্পধারার সিনেমার প্রযোজক হিসেবে তিনিও আলোচিত।

কান, ভেনিস, লোকার্নোসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সব চলচ্চিত্র উৎসবেই থাকে ফ্রানের সিনেমা। গোল্ডেন গ্লোবেও ছিল তাঁর প্রযোজিত সিনেমার মনোনয়ন। সর্বশেষ গত বছর তাঁর প্রযোজিত সিনেমা স্ট্রেঞ্জার আইস ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন লায়ন পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতা করে। তার আগে ফ্রান আলোচনায় ছিলেন মালয়েশিয়ার টাইগার স্ট্রাইপস সিনেমা দিয়ে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে অফিশিয়াল বিভাগে জায়গা পাওয়া এটি ছিল দেশটির প্রথম কোনো নারী নির্মাতার সিনেমা। কানের আঁ সার্তে রিগা বিভাগে অংশ নিয়ে ক্রিটিকস উইক গ্র্যান্ড পুরস্কার জিতে নেয় সিনেমাটি। এর পরিচালক ছিলেন আমান্দা নেল।

প্রযোজক ফ্রান বর্জিয়া। ছবি: আইএমডিবি

‘দ্য ম্যাজিক্যাল মেন’–এ যুক্ত রয়েছেন ফ্রান্সের আরেক প্রযোজক ফ্রঁসোয়া ডি-আর্টেমেয়ার। তিনি তরুণ নির্মাতাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নাম। তাঁর প্রযোজিত একাধিক সিনেমা ভেনিস, লোকার্নো, বার্লিন, কার্লোভি ভেরিসহ গুরুত্বপূর্ণ সব উৎসবে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে। এর আগে তিনি ‘মনতানহা’, ‘সেন্ট জর্জ’সহ একাধিক সিনেমার জন্য প্রশংসিত হন। সেন্ট জর্জ সিনেমাটি ভেনিসে সেরা সিনেমার মনোনয়ন পায়। সিনেমাটির জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার জেতেন নুনো লোপেস। বিশ্বের প্রায় সব বড় উৎসবেই নিয়মিত জায়গা পায় আর্টেমেয়ারের সিনেমা।

আর্টেমেয়ার এর আগেও বাংলাদেশের মেহেদী হাসান পরিচালিত ‘বালুর নগরীতে’ ও রুবাইয়াত হোসেন পরিচালিত ‘শিমু’র প্রযোজক ছিলেন। ‘বালুর নগরীতে’ সিনেমাটি কার্লোভি ভেরি চলচ্চিত্র উৎসব থেকে এবার গ্র্যান্ড প্রিক্স পুরস্কার জয় করে।

প্রযোজক ফ্রঁসোয়া ডি-আর্টেমেয়ার। ছবি: সিনেইউরোপা

বিপ্লব জানান, সিনেমাটি বড় পরিসরে দর্শকদের কাছে নিয়ে যেতে চান। যে কারণে সিনেমায় যুক্ত করেছেন নামকরা সব প্রযোজককে। যাঁদের হাত ধরে এগিয়ে চলেছে স্বাধীন ঘরানার নির্মাতাদের সিনেমা।

এই পরিচালক বলেন, ‘এই দুই প্রযোজকের সঙ্গে বুসানে দুই বছর আগে পরিচয়। তাঁরা আমার সিনেমাটি সে সময় পছন্দ করেন। পরে আগ্রহী হয়েই আমার পরবর্তী সিনেমা সম্পর্কে জানতে চান। তাঁদের বাংলাদেশের সিনেমার পাশে থাকাটা তরুণদের জন্য দারুণ একটি খবর।’ দুই বছর আগে বুসান উৎসবের অফিশিয়াল শাখা নিউ কারেন্টস পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতা করে বিপ্লবের ‘আগন্তুক।’

বিপ্লবের দ্বিতীয় সিনেমার আরেক প্রযোজক কলকাতার শঙ্খজিত বিশ্বাস।