পূর্ণিমার বিয়ে: যা বললেন সাবেক স্বামী

পূর্ণিমাকে আংটি পরিয়ে দিচ্ছেন আশফাকুর রহমান, সাবেক স্বামী আহমেদ জামাল ফাহাদ
কোলাজ : সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ খবর রটে, ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা বিয়ে করেছেন। হঠাৎ করেই প্রকাশ হওয়া বিয়ের খবরে ফেসবুকে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয় এই ঢালিউড তারকা ঘিরে। আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে বিয়ের খবর চাউর হওয়ার পর সাবেক স্বামী আহমেদ জামাল ফাহাদের কাছে অনেকেই ফোন করে এবং খুদে বার্তা পাঠাতে থাকেন। পূর্ণিমার বিয়ের খবরে তাঁর কাছে ফোন করা ও খুদে বার্তা পাঠানোর বিষয়টি তাঁর ভালো লাগেনি। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, পূর্ণিমার বিয়ের খবরটি জানেন তিনি।

বিয়েতে দুই পরিবারের সবাই অনেক খুশি জানিয়ে পূর্ণিমা বলেন, ‘দুই পরিবারের ইচ্ছাতেই তো বিয়েটা হলো, সবাই খুশি। আমার মেয়েসহ সবাইকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন গ্রহণ করে নিয়েছেন, খুবই আদর করছেন। আমার মা–ও সবাইকে সুন্দরভাবে গ্রহণ করে নিয়েছেন।’
ছবি : পূর্ণিমার সৌজন্যে

এদিকে নতুন জীবন শুরুর ঘোষণা সামনে আসায় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমাকে শুভকামনা জানাতেও ভোলেননি সাবেক স্বামী আহমেদ ফাহাদ জামাল। বিয়ের খবর প্রসঙ্গে ফাহাদ লিখেছেন, ‘খবরটি আমিও শুনেছি। দয়া করে আমাকে এসএমএস করা এবং কল করা বন্ধ করুন। মানুষের জীবনে এমনটা ঘটতেই পারে। আমার সঙ্গে খবর শেয়ার করার দরকার নেই। তাঁর (পূর্ণিমা) জন্য শুভকামনা। আমার কন্যার জন্য দোয়া করবেন৷’

২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পূর্ণিমা। ২০১৪ সালে কন্যাসন্তানের মা হন তিনি

আশফাকুর রহমানের সঙ্গে পূর্ণিমার এটা দ্বিতীয় বিয়ে। ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পূর্ণিমা। ২০১৪ সালে কন্যাসন্তানের মা হন তিনি। জানা গেছে, বছর তিনেক আগেই পূর্ণিমার ডিভোর্স হয়ে যায়।

গত ২৭ মে পূর্ণিমা ও রবিনের দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়
ছবি : পূর্ণিমার সৌজন্যে

এদিকে গণমাধ্যমে দেওয়া পূর্ণিমার তথ্যমতে, ২০১৮ সালে একটি ইভেন্টে অথবা নাটকের শুটিংয়ে আশফাকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয়। ‘তখন সে (রবিন) অন্য একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করত। ওই কোম্পানির অনেক ইভেন্ট হতো। ইভেন্টে নিজের অধীনে থাকা ব্র্যান্ডগুলো দেখত রবিন। সংগীতশিল্পী, ক্রিকেটারসহ বিভিন্ন অঙ্গনের তারকাদের নিয়ে ছিল তাদের কাজ। আমিও টানা একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করি। ওখান থেকেই কথাবার্তা শুরু হয়। কথা বলতে বলতে আমাদের মধ্যে ভালো একটা বন্ধুত্ব তৈরি হয়।’ পূর্ণিমা বলেন, ‘ছেলেটা আসলেই খুব ভালো। ভালো মানুষ একজন। যার কাছে সবকিছু বলা যায়। যাকে সব ক্ষেত্রে বিশ্বাস করা যায়। আমরা কাজের ক্ষেত্রে কাজই করেছি। আবার বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে সেটা সেভাবে বজায় রেখেছি।’