ওরা ভেবেছিল আমি আর জেল থেকে বের হতে পারব না: পরীমনি

পরীমনি
ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

ঢালিউড তারকা পরীমনি সর্বশেষ চিত্রনায়ক স্বামী শরীফুল রাজকে বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়ে আলোচনায় এসেছেন। এদিকে বিচ্ছেদের ইস্যুর মধ্যে একের পর এক ওয়েব সিরিজ আর চলচ্চিত্রে চুক্তি নিয়ে নিজের ছন্দে ফেরার ইঙ্গিতও দেন। এসবের মধ্যেই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘বঙ্গ বিডি’র ফেসবুক পেজে ৩ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের এক সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। ‘পরীমনি আনপ্লাগড’ শিরোনামের সেই সাক্ষাৎকারে পরীমনির ব্যক্তিজীবনের নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন

নিজের সম্পর্কে শোনা সবচেয়ে হাস্যকর গুজব কোনটি? উপস্থাপিকার এমন প্রশ্নের জবাবে পরীমনি বলেছেন, ‘পরীমনির নাকি তিন-চারটি জামাই আছে।

পরীমনি
ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

আগেরও দুইটা বাচ্চা আছেসহ অনেক কিছুই। যখন জেলে ছিলাম, তখন তো আমি বাইরের কিছু জানতে পারিনি। এই ২০ দিনের মধ্যে এ গুজবগুলো বেশি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। যে কেউ আমাকে নিয়ে কিছু একটা শুরু করে, এরপরই আমার জন্ম থেকে আজ অবধি জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করে ফেলে, যাকে বলে বায়োগ্রাফি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যদি জেলে যায় এক রকম। আর আমার যেটি হয়েছে, জেলে যাওয়ার পর আমার সো কলড আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব—আমি যাদের সঙ্গে মিশেছি, তাদের ধারণা, ও আর জেল থেকে বের হতে পারবে না। এটি কী ভাই! এটা কোনো কথা!’

আরও পড়ুন

একই প্রশ্নের উত্তরের শেষাংশে পরীমনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, তুমি কারও অবর্তমানে তার সম্পর্কে কথা বলছ—জেলে থাকুক আর যেখানেই থাকুক, সে যদি বেঁচে থাকে, তার সঙ্গে তোমার যদি দেখা হয় বা সে সামনে আসে, তখন তুমি কী করবা? কীভাবে ডিল করবা তাকে? আবার কেউ যখন আমাকে নিয়ে ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েট করে, তার সঙ্গে কোনো না কোনো দিন দেখা হতেই পারে বা আমার প্রয়োজনের তাগিদে তাকে খুঁজে নেব। আমি জানি না তখন তারা কীভাবে ডিল করবে আমাকে, সেটির জন্য সবাই যেন প্রস্তুত থাকে।’ পরীকে উপস্থাপিকার আরেকটা প্রশ্ন ছিল, ‘আপনি হিরোইন নাকি অভিনেত্রী?’ ‘প্রথমে হিরোইন, তারপর অভিনেত্রী’—উত্তরে বলেন পরীমনি।

প্রশ্ন ছিল, ইন্ডাস্ট্রির কাকে দেখলে মারতে ইচ্ছা করে? পরীমনির উত্তর, ‘সামনে মার খাবে একজন, খাওয়ার পর সবাই এমনি জানতে পারবে। এখন যদি বলে দিই, তাহলে সতর্ক হয়ে যাবে, আমার সামনেই পড়বে না।’

পরীমনি
ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

বাস্তব জীবনে পরীমনি কি কাউকে পিটিয়েছে? উপস্থাপিকার করা এমন প্রশ্নে পরীমনি বলেন, ‘হ্যাঁ, ভীষণ, অনেক অনেক অনেক আছে এমন। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, ওরা মার খায়, কিছু বলে না, মার খেয়ে চুপ হয়ে থাকে।’

আরও পড়ুন