এই ইস্যু নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না, মাহি প্রসঙ্গে নিপুণ

মাহিয়া মাহি
ছবি: প্রথম আলো

পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফেরার সময় নিজ দেশেরই বিমানবন্দরে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি সরকারকে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মাহিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে নিয়ে মাহির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালতের বিচারক রিমান্ড মঞ্জুর না করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাহিকে গ্রেপ্তার করায় ক্ষুব্ধ বিনোদন অঙ্গনের অনেকে। তাঁরা এভাবে মাহিকে গ্রেপ্তারে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তবে চলচ্চিত্রশিল্পী মাহির সংগঠন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি এ ব্যাপারে একদম চুপ।

এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপার। মেইনলি সমস্যা হচ্ছে, মাহি ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাকে দেখলাম কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। আদালতের বিষয়টা নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।

শিল্পী সমিতিতে নিপুন
প্রথম আলো

তবে ওকে যেখানেই রাখুক, কমফোর্টেবল জোন ও সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হোক। ওর বাদী হয়েছে পুলিশ, আমরা সাধারণ পাবলিকেরা তো পুলিশের ওপর কিছু বলতে পারব না। কারণ, পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। তাই এটা রাষ্ট্রীয় ইস্যু। এই ইস্যু নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না।’ নিপুণের ভাষায়, ‘পুলিশের কাছে হয়তো মনে হয়েছে এটা সঠিক।

আরও পড়ুন

আমরা কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নই। আর মাহির এই বিষয়টা আইন থেকে আদালতে গিয়েছে। আদালত কিন্তু কারাগারে পাঠিয়েছেন, পুলিশ না। পুলিশ শুধু তাকে গ্রেপ্তার করেছে, আদালতে যাওয়ার পর আদালতই তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। আমিও নিইনি, আপনিও নেননি, পুলিশও নেয়নি, নিয়েছে আদালত। রাষ্ট্রের কোনো মানুষকে নিয়ে যখন কথা বলবেন, এটার সত্যতা যদি থাকে তাহলে ভালো। হয়তো মাহির কথায় সত্যতা ছিল কিছু একটা। সত্যতা থাকলে সে যদি প্রুফ করতে পারত, তাহলে কারাগারে যেতে হতো না। কোনো কিছু শুনে, আমার জায়গা দখল হয়ে গিয়েছে, আমি বলতে পারি না কেউ ঘুষ খেয়েছে। পুলিশ কমিশনার যে দেড় কোটি টাকা নিয়েছে এটা কি আমি দেখেছি? আমি কিন্তু দেখি নাই। আমি শুধু এটুকুই বলব, মাহি ইজ আ প্রেগন্যান্ট। মাহির কমফোর্টবল জোনটা আশা করছি। আমি দ্রুত মাহির শ্বশুরবাড়ি ও হাজবেন্ডকে অনুরোধ করব, তাঁর হাজবেন্ড যেখানেই আছেন, দ্রুত যেন বাংলাদেশে আসেন। এসে যাতে তাঁর ওয়াইফের নিরাপত্তাটা যেন দেয়।’

সংগঠন হিসেবে আপনারাও তো একটা পরিবার। আপনাদের কোনো দায় কী নেই? এমন প্রশ্নে বললেন, ‘আমরা কী করব, সেটা আমরা পরে জানাব। এখন সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না।’ এ দিকে মাহিয়া মাহিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারের কারণে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিনোদন অঙ্গনের অনেকে। তাঁরা মাহিকে মুক্তি দিয়ে দ্রুত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন। একজন শিল্পীকে এভাবে বিমানবন্দর থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।

স্বামীর সঙ্গে মাহী
ছবি: অভিনেত্রীর সৌজন্যে
আরও পড়ুন

সম্প্রতি তিনি পবিত্র ওমরাহ পালন করতে স্বামীর সঙ্গে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই গতকাল শুক্রবার ভোরে ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ তোলেন, গাজীপুরে অবস্থিত তাঁদের গাড়ির শোরুমে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ওই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগও তোলেন তাঁরা। এদিন রাতেই মাহি-রকিবের বিরুদ্ধে মামলা করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। সেই সূত্রে দেশে ফেরা মাত্রই মাহিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।