নেতাদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন অরুণা বিশ্বাস

নেতাদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন অরুণা বিশ্বাস
ছবি: সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার বিকেলে এফডিসিতে অনুষ্ঠিত একটি আলোচনা সভা থেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাসের ব্যবহৃত ব্যাগ চুরি হয়। অরুণা বিশ্বাস জানান, তাঁর ব্যাগে দুটি মুঠোফোন, জাতীয় পরিচয়পত্র, ক্রেডিট কার্ড, ঘরের চাবিসহ আরও অনেক কিছু ছিল। এ ব্যাপারে রাজধানীর শিল্পাঞ্চল থানায় একটি জিডি হয়েছে। এখনো উদ্ধার হয়নি চুরি হওয়া জিনিসপত্র। এ ব্যাপারে অরুণা বিশ্বাসের ক্ষোভ—ঘটনা দুই দিন অতিবাহিত হলেও এফডিসির কোনো সংগঠনের নেতারা তাঁর খোঁজখবর নেননি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় অরুণা বিশ্বাস তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘আমাদের এফডিসির শ্রদ্ধেয় নেতারা, আপনার কোথায়? আপনাদের সহকর্মীর এত বড় ক্ষতি হয়ে গেল, আপনারা জানার পরও এখনো কেউ আমাকে কল করে জানতে চাননি, আমি কী অবস্থায় আছি? অথচ ভক্ত অনুরাগী, বন্ধুবান্ধব, সাংবাদিক, পরিবারের আত্মীয়স্বজন সবাই খোঁজ নিয়েছেন, এখনো নিচ্ছেন।’

অরুণা বিশ্বাস
ফেসবুক থেকে

ক্ষোভ প্রকাশ করে আরেক অংশে অরুণা বিশ্বাস লিখেছেন, ‘মনের সংকীর্ণতার ওপরে উঠুন, শিল্পী হয়ে শিল্পীর পাশে দাঁড়ান। মানবতাও ধর্ম। সহমর্মিতা জানালে বড়ই হবেন, ছোট হবেন না ।’

এ ব্যাপারে অরুণা বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘গতকাল যখন আমার ব্যাগটি হারাই, তখন নেতারা অনেকেই সেখানে ছিলেন। দুই দিন গেল, বড় বড় নেতারা কেউ একবারও খোঁজ নিলেন না। আমার সংগঠন শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইসহ অনেকেই ছিলেন, তাঁরাও খোঁজ নেননি। জিনিসগুলো উদ্ধার হোক বা না হোক, একবার ফোন দিলেও তো বুঝতে পারতাম আমার সংগঠন আমার পাশে আছে। অন্য সমিতির নেতারাও খোঁজ নেননি।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অরুণা বিশ্বাস
ছবি: সংগৃহীত

ক্ষোভ ঝেড়ে ঢালিউডের একসময়কার এই নায়িকা আরও বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে মাতামাতি, সংগঠন নিয়ে এত হইচই সারা বছর। এখন শিল্পীর বিপদে যদি শিল্পী, কলাকুশলীরাই না থাকেন, তাহলে এসব সংগঠন দিয়ে লাভ কী?’

অরুণা বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আমাদের নেতারা মুখে বড় বড় কথা বলেন, দেশের মানুষের জন্য নাকি কাজ করেন। নিজের ঘরের মানুষই সহযোগিতা পান না, বাইরের মানুষ কীভাবে সহযোগিতা পান, মাথায় আসে না। নেতাদের এসব লম্বা লম্বা কথা বন্ধ করতে হবে।’

সাইমন সাদিক
ছবি: সংগৃহীত

অরুণা বিশ্বাসের এমন অভিযোগে শিল্পী সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক সাইমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠানে আমি নিজেও ছিলাম। গতকাল যখন অরুণাদিদির ব্যাগ হারায়, তখন পাশেই ছিলাম আমি। কিন্তু দিদি একবারও আমাদের ব্যাপারটা নিয়ে কিছু বলেননি।’ কিন্তু একজন সহশিল্পী হিসেবে নিজ থেকেও তো খোঁজখবর নেওয়া উচিত, নাকি? সাইমন বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা ঠিক, ফোন না দেওয়াটা একটা অসুন্দর কাজ হয়েছে, অন্যায় হয়েছে। আমাদের উচিত ছিল নিজ থেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা, হারানো জিনিসগুলো উদ্ধারের ব্যাপারে সহযোগিতা করা।’