এই নয় মাস আমাকে অনেক বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে আসতে হয়েছে: নিপুণ

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জটিলতা ছিল। প্রথম দিকে নির্বাচনের ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ হয়। পরে স্থগিত হয় সাধারণ সম্পাদকের পদ। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে যেতে হয় সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীদের। অবশেষে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এখন থেকে সম্পাদক হিসেবে নিপুণ আক্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এফডিসি থেকে কথা বললেন এই অভিনেত্রী ও শিল্পীদের নেতা
এর আগেও শপথ নিয়ে শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসেছিলেন নিপুণ
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

হাইকোর্টের রায় স্থগিত, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আপনি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, এটা শোনার পর কী মনে হয়েছিল?

সকালেই শুনেছি। প্রথমেই শুকরিয়া আল্লাহর কাছে। ৯ মাস যে যুদ্ধটা করেছি, সেটা ন্যায়ের পক্ষে আসায় আরও বেশি শান্তি পাচ্ছি। এই নয় মাস আমাকে অনেক বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে আসতে হয়েছে। আমি খুবই খুশি।

প্রশ্ন :

এফডিসিতে আসবেন কখন?

এমন একটা সংবাদ, সহকর্মীরা সবাই ফোন করছেন। এফডিসিতে না এসে থাকতে পারি? আমি এফডিসির শিল্পী সমিতির অফিসে। দীর্ঘদিন পর রিলাক্সে সবার সঙ্গে কথা হচ্ছে, দেখা হচ্ছে। আমাদের একটা সংবাদ সম্মেলন আছে আজ তিনটায়। অনেকটা সময় অফিসেই কাটবে।

চিত্রনায়িকা নিপুণ
ছবি: প্রথম আলো

প্রশ্ন :

দীর্ঘ এই সময়ে লড়ে যাওয়া আপনার জন্য কেমন ছিল?

আমাকে পদে পদে মানসিক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। সবকিছুই কোনো না কোনো ভাবে চলছিল। কিন্তু দীর্ঘ নয় মাস সব জায়গায় থেমে যাচ্ছিলাম। অনেক সময় বিব্রত হতে হয়েছে। যেখানেই গিয়েছি, ‘সবার প্রশ্ন ছিল, আসলে কী হচ্ছে। কবে এর শেষ হবে।’ সত্যের জয় হবে বুঝতে পারলেও মানসিকভাবে স্বস্তিতে ছিলাম না। কিন্তু সত্যের জন্য লড়ে গেছি। তবে জানতাম সত্যের জয় দেরিতে হলেও হয়। আমরা একের পর এক ধৈর্য ধরেছি। আজকের সেই ফল আমার সহকর্মী, সমিতির সব সদস্যের মুখে হাসি।

প্রশ্ন :

সমিতির সভাপতি সঙ্গে কি কথা হয়েছে?

আমাদের তো সব সময়ই কথা হয়। আজ সকালেই আমার প্রেসিডেন্ট ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইকে ফোন দিয়ে জানিয়েছি সুখবরটা। তিনিও এমন খবরে মানসিকভাবে স্বস্তি পেয়েছেন। মানসিকভাবে তিনিও একটা সংশয়ের মধ্যে ছিলেন। কারণ, তিনি সবাইকে নিয়েই দায়িত্ব পালন করতে চেয়েছেন। এখন সেটা পূর্ণতা পাবে। এখন আমরা রিলাক্স আছি। কীভাবে সমিতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটা নিয়ে পরিকল্পনা করব।

জায়েদ খান ও নিপুণ সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

আপনারা কোনো কাজগুলোতে গুরুত্ব দিয়ে এগোতে চান?

দেখুন, আমি কিন্তু একটা কারণেই নির্বাচন করেছি, সেটা শিল্পীদের জন্য। এখন গোছালোভাবে শিল্পীদের জন্য কাজ করে যাব। অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। আর দেরি করতে চাই না। শিগগির আমরা মিটিং করে কাজ শুরু করব।

প্রশ্ন :

এর আগে সমিতির বিভিন্ন পদ থেকে অনেকেই পদত্যাগ করেছেন, তারা কি থাকবেন এই মিটিংয়ে?

তাঁরা তো আগে থেকেই বলছিলেন, মিটিং মানি না। অনেকে মিটিংয়ে আসেননি। এখন বৈধতা পাওয়ার পর হয়তো আমরা সবাই মিলে কাজ করব। কারণ, এত কম লোক দিয়ে সংগঠন চালানো যায় না। এ ব্যাপারে আমার প্রেসিডেন্ট যা বলবেন, সেটাই চূড়ান্ত হবে। আর আমরা কিন্তু কাউকে বলিনি এফডিসিতে না আসতে। এফসিডিতে আসার অধিকার সব শিল্পীর রয়েছে। তাঁরা এলে তো না করব না; বরং একসঙ্গে কাজ করে যাওয়াই সবার জন্য ভালো।

নিপুণ আক্তার
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

মিশা-জায়েদ কমিটির অনেকের অভিমান আছে, তাঁদের নিয়ে কাজ করা কতটা শক্ত হবে?

শিল্পীদের মধ্যে মান–অভিমান থাকবেই। সেটা ভুলে আমরা একসঙ্গে শিল্পীদের জন্য কাজ করে যাব। তাঁদের কাউকে তো বলিনি, আসবেন না। মিশা ভাইয়ের সঙ্গে আমার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়। কেউ ফোন করলে কথা বলব না—এমন মানুষ আমি না। এখন সবাই মিলে কাজ করে যাব। আজকে সংবাদ সম্মেলনের পর সব পরিকল্পনা ঠিক করব।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন