চিত্রনায়ক শাকিল খান নীরবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন

শাকিল খান। ছবি সংগৃহীত।

অভিনয় থেকে দীর্ঘদিন দূরে চিত্রনায়ক শাকিল খান। তবে এই সময়ে ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। পাশাপাশি এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা কয়েক গুণ বেড়েছে বলে জানান এই অভিনেতা। জানালেন, বিভিন্ন সময় তিনি এলাকার মানুষের পাশে থেকেছেন। এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন। এবার তিনি এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আজ চুপিচুপি মনোনয়ন জমা দিয়ে প্রথম আলোকে এই তথ্য দেন।

আরও পড়ুন

মনোনয়ন বিক্রি শুরু হওয়ার প্রথম দিনই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন শাকিল খান। সেটা আজ নীরবেই জমা দিলেন। এই নায়ক বলেন, ‘আমি আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) আসনের জন্য মনোনয়ন কিনেছি। এখন মনোনয়ন কিনেছি এটা বড় বা মুখ্য বিষয় না। আমি দীর্ঘদিন ধরে মোংলা, রামপাল এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। আমার এই এলাকার মানুষের সঙ্গে আমার অভিনয়ের বাইরে রাজনৈতিক পরিচয় দীর্ঘদিনের। তাঁদের পাশে থাকতে চাই।’

শাকিল খান জানান, তিনি অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও তাঁর এলাকার মানুষের কাছ থেকে কখনোই দূরে থাকেননি। তিনি সব সময় এলাকার মানুষের পাশে থেকেছেন

শাকিল বলেন, ‘১৯ বছর ধরে আমি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এখন আমি একটি জিনিসই প্রত্যাশা করি, একজন ভালো মানুষের মাধ্যমে একজন নেতৃত্ব দেবেন এবং যাঁর নেতৃত্বে এলাকার সাধারণ জনগণ ও তৃণমূল আওয়ামী লীগকে নিয়ে কাজ করতে পারবেন, সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।’

শাকিল আরও বলেন, ‘গ্রামের মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তাঁদের পাশে নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। তাঁদের ভালোবাসা নিয়ে চুপিচুপি মনোনয়ন জমা দিলাম। কারণ, মনোনয়ন জমা দেওয়া এই স্থানে শুধু শুধু ভিড় করে বাড়তি লোক এনে শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে চাইনি। কারণ, অনেকেই আসছেন, সবাইকে সুযোগ করে দেওয়া দরকার। যে কারণে আমার এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে অল্প কিছু মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এসে মনোনয়ন জমা দিলাম। চুপিচুপি এসে কাজগুলো করলে সবার জন্য সহজ হয়। এ জন্য আমি কিন্তু আলাদা করেও মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে কোনো প্রচার করিনি। তবে আমি আগের মতোই আমার আমাদের নির্বাচনীয় এলাকায় সরব রয়েছি।’

ঝোঁকের বশেই চলচ্চিত্রে আসেন শাকিল খান। ক্যারিয়ারে প্রথম ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ ছবিতে অভিনয় করেন ১৯৯৪ সালে। সে ছবিটি মুক্তি পায় তিন বছর পর। এরপর যেন এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। একে একে উপহার দেন ব্যবসাসফল ‘পাহারাদার’, ‘বিয়ের ফুল’, ‘নারীর মন’, ‘কষ্ট’র মতো অসংখ্য ছবি।

অল্প সময়েই বাংলা সিনেমায় নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেন এই নায়ক। তুমুল ব্যস্ততায় যখন নিজেকে সময় দেওয়ার মতো অবসর মেলে না, শুটিংয়ে ছুটতে হয় দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে, এমন একসময়ে হঠাৎ করে চলচ্চিত্রে অভিনয় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। এরপর তিনি আর সিনেমায় নিয়মিত হননি।