যে কারণে শাকিবের সঙ্গে কাজ, মিমিই বা কেন তুফানে? জানালেন চঞ্চল
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে এখনো চলছে ‘তুফান’ ক্রেজ। সব বয়সী মানুষ ছুটছেন শাকিব খান-চঞ্চল চৌধুরী এবং ওপার বাংলার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী অভিনীত সিনেমাটি দেখতে। হলগুলোতে ‘তুফান’ নিয়ে যে উন্মাদনা, সেটি সাম্প্রতিক সময়ের আর কোনো চলচ্চিত্র নিয়ে হয়েছে বলে মনে হয় না! ‘প্রিয়তমা’ কিংবা ‘রাজকুমার’ হলে সাড়া ফেললেও ‘তুফান’ যেন সবকিছুকেই এবার ছাপিয়ে গেছে। এই তুফানি ক্রেজের পেছনে শাকিবের পাশাপাশি চঞ্চল চৌধুরীর বিপুল ভক্তদেরও ভূমিকা আছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
এবার ‘তুফানে’ যুক্ত হওয়ার পেছনের গল্প বললেন গুণী অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চঞ্চল বলেন, ‘শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে এর আগে আমার সঙ্গে দেখা হয়েছে কোনো পুরস্কার অনুষ্ঠানে অথবা ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে। সেখানে তাঁর কথাবার্তা শোনার পর আমার মনে হয়েছে, তিনি আসলে বাংলা সিনেমার জন্য একজন ডেডিকেটেড মানুষ। শুধু অভিনেতা নন। আমরা অনেকে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করি, কেউ করি রুটিরুজির স্বার্থে, কেউ শিল্প এবং সিনেমার স্বার্থে। তবে আমার মনে হয়েছে, এই মানুষটার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সিনেমাতে পরিবর্তন আনা সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানের করা সম্ভব।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘যখন আমাকে এই প্রস্তাবটা দেওয়া হয়, আমি আসলে আগে থেকেই চেষ্টা করছিলাম, যতবার শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে আড্ডা হয়েছে, ততবারই আমরা ভেবেছি অ্যাকশন নিয়ে কাজ করা উচিত। এটা আমার জন্য সুযোগই। ভেবেছি, দেখি যদি আমরা একসঙ্গে কাজ করি, আমার কিছু দর্শক আছে, তাঁর দর্শক আছে। আমরা একসঙ্গে কাজ করলে যদি অধিকাংশ দর্শককে সিনেমা হলে আনতে পারি, আমরা পরবর্তী সময়ে অনেক বড় বড় বাজেটনির্ভর সিনেমা করতে পারব।’
পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের নায়িকা মিমি চক্রবর্তীকে আনার পেছনেও একই যুক্তি দেখালেন চঞ্চল চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সিনেমাটিকে কলকাতার দর্শকনির্ভর করতে মিমিকে আনা। মিমি ওখানকার খুব জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। তাঁর জনপ্রিয়তা ওখানে তুঙ্গে। লক্ষ্য ছিল, আমরা আমাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করব, সেই সঙ্গে সারা পৃথিবীতে যত বাংলা ভাষাভাষী আছেন, তাঁদের ধরার চেষ্টা। তবে শুধু ছোট্ট একটা শক্তি দিয়ে তাঁদের ধরা সম্ভব নয়। শক্তিটাকে বৃহত্তর করতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’