হেমন্তকালে ‘বসন্ত বিকেল’

নামের মতো সিনেমার গল্পেও বসন্তের ছোঁয়া রেখেছেন পরিচালক।ছবি: সংগৃহীত

বসন্তকালেই ‘বসন্ত বিকেল’ মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন রফিক শিকদার, মাঝে করোনা মহামারি আর ভালো দিনক্ষণ না পাওয়ায় মুক্তি পেতে পেতে হেমন্ত হয়ে গেল। নামের মতো সিনেমার গল্পেও বসন্তের ছোঁয়া রেখেছেন পরিচালক। চিত্রনাট্য অনুযায়ী সিনেমার শেষ দৃশ্য বসন্তকালে ফুলে ফুলে শোভিত শিমুলগাছের নিচে ধারণের কথা ছিল। কাঙ্ক্ষিত দৃশ্য পেতে বসন্তের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন নির্মাতা। পাবনা শহরের দুই তরুণ-তরুণীকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে সিনেমার গল্প। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে এসে প্রেমে পড়ে রুদ্র ও চন্দ্রাবতী। রুদ্র চরিত্রে শিপন মিত্র ও চন্দ্রাবতী চরিত্রে নবাগত সুবাহ অভিনয় করেছেন। ছবির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানভীর তনু।

সিনেমার পোস্টার।
ছবি: সংগৃহীত

পরিচালক রফিক শিকদার বলেন, ‘পরিবার নিয়ে দেখার মতো শিল্পমানসমৃদ্ধ একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চেয়েছি। রুচিশীল দর্শকের ছবিটা ভালো লাগবে বলে আশা করছি। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলা চলচ্চিত্র থেকে দূরে আছেন, সেই সব অভিমানী দর্শকদের হলে আসার অনুরোধ করছি।’
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হয়েছিল। পাবনা ছাড়াও শুটিং হয়েছে ঢাকা, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, বিক্রমপুর ও নারায়ণগঞ্জে। পরিচালক জানান, এক বসন্তের সকালে সিনেমার দৃশ্য শুরু হয়েছে, শেষ হয়েছে আরেক বসন্তের বিকেলে—বিয়োগান্ত পরিণতির মধ্য দিয়ে। চলতি বছরের শুরুর দিকে সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়ার পরও মুক্তিতে বিলম্ব হওয়ার কারণ হিসেবে রফিক বলেন, ‘ভালো দিনক্ষণ দেখে ফাঁকা একটি তারিখে সিনেমাটি মুক্তি দিতে চেয়েছি। এবারও ফাঁকা পেলাম না। জেদ করেই মুক্তি দিলাম।’

সিনেমা দৃশ্যে শিপন ও সুবাহ।
ছবি: সংগৃহীত

শিল্পী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি মাথায় ছিল, এ প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, ‘শিপন মিত্রকে নেওয়ার কারণ, সে এই চরিত্রের জন্য পারফেক্ট। চরিত্রটি নিয়ে আমার যে স্বপ্ন ছিল, সেটা শিপন প্রমাণ করেছেন। সুবাহ নতুন মেয়ে, আমার একটি “নিষ্পাপ” চেহারা লাগত, যাকে কাঁদতে দেখলে মনে হবে সত্যিই কাঁদছে। অন্যরাও অনবদ্য অভিনয় করেছেন।’

এক ভিডিও বার্তায় দর্শকদের সিনেমাটি দেখার আহ্বান জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী, সিনেমার একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাঁর স্বামী ওমর সানী। মৌসুমী বলেন, ‘অনেক দিন পর চিত্রনায়ক ওমর সানীর ছবি মুক্তি পাচ্ছে। শুটিং চলাকালে তার কাছ থেকে সিনেমার গল্প শুনেছি, ছবিটা আসলেই খুব ভালো হবে। আমার ইচ্ছা আছে হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখার। আপনারাও হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখুন।’

শ্যামলী, লায়ন সিনেমাস, আনন্দ, বিজিবি অডিটরিয়াম, গীত সিনেমা, চাঁদমহল, ছায়াবাণী, রূপকথা, সুগন্ধা, বর্ষা, নিউ মেট্রো, পূর্বাশা, শাপলা, সংগীতা, চিত্রালী, বনলতা, পান্না, মালঞ্চ, আনন্দ সিনেপ্লেক্সে চলছে ছবিটি।