মিষ্টি বললেন ‘ইউটিউবাররা আর উদ্ভট ক্যাপশন দেবেন না’

মঙ্গলবার তমা ও মিষ্টিকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সভাপতি মিশা সওদাগরসহ কার্যকরী পরিষদ সদস্যরাফেসবুক থেকে

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা তমা মির্জাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে সপ্তাহখানেক আগে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয় মিষ্টি জান্নাতকে। এর মধ্যে আইনি নোটিশের জবাব দিয়েছেন মিষ্টি জান্নাতও। জবাবে তমা মির্জার দেওয়া নোটিশকে অসত্য উল্লেখ করে তা প্রত্যাহার এবং তিন দিনের মধ্যে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। সোমবার মিষ্টির দেওয়া নোটিশের পর সরগরম সামাজিক মাধ্যম থেকে গণমাধ্যম। বেশ কয়েক দিন ধরে দুই অভিনেত্রীর মধ্যকার উত্তেজনার বিষয়টি নজরে আসে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিরও।

বিষয়টির সমাধানে আজ মঙ্গলবার তমা ও মিষ্টিকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সভাপতি মিশা সওদাগরসহ কার্যকরী পরিষদ সদস্যরা। বহু জল ঘোলার পর অবশেষে এই বৈঠকে দুই নায়িকার দ্বন্দ্ব মিটমাট করে দেওয়া হয়।

তমা ও মিষ্টি
কোলাজ

পরে দুই অভিনেত্রীকে পাশে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, ‘আমি যেহেতু সমিতির প্রধান, সেহেতু ওরা আমার সন্তানের মতো। দুজনে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে। শিল্পী সমিতির মাধ্যমে পুরো বিষয়ের অবসান হয়েছে।’ পরে তাদের দুজনের মধ্যে তৈরি দ্বন্দ্বের সমাধান হয়েছে মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা পড়ে শোনান সহসভাপতি ডিএ তায়েব।

তমা মির্জা
ফেসবুক থেকে

বিষয়টি নিয়ে অভিনেত্রী তমা মির্জা বলেন, ‘দিন শেষে আমরা শিল্পী। আমাদের অভিভাবক শিল্পী সমিতি। তাদের মাধ্যমে পুরো বিষয়টির সুন্দর সমাধান হয়েছে। ধন্যবাদ শিল্পী সমিতিকে। ক্যারিয়ারে মিষ্টি আমার ছোট, সে অনুযায়ী সে আমার ছোট বোনের মতো। সমিতির বড় ভাইয়ের পরামর্শে আমরা মিলে গেছি।’

মিষ্টি জান্নাত
ফেসবুক থেকে

তমার পর একই সুরে কথা বলেন অভিনেত্রী মিষ্টি জান্নাতও। তিনি বলেন, ‘বাবা-মায়ের মতো অভিভাবক শিল্পী সমিতি। আমাদের দ্বিতীয় পরিবার। তাদের উপস্থিতিতে সুন্দর সমাধান হয়েছে। তমা আপু আমার খুব কাছের। ভুল–বোঝাবুঝির কারণে এমন হয়েছে। মূলত ইউটিউবারদের কারণে এই ভুল–বোঝাবুঝি। আশা করব, ভবিষ্যতে ইউটিউবাররা আর উদ্ভট ক্যাপশন দেবেন না। অনুরোধ রইল। অভিভাবকদের কথামতো পুরো বিষয়ের দ্বন্দ্বের শেষ হয়েছে।’