কেউ কেউ সময়ের আগে অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। কেউবা আমৃত্যু নিজেকে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত রাখতে চান। অনেক আবার অভিনয় ছাড়লেও সবাই অভিনয়জগৎটাকে ছেড়ে যান না। প্রযোজক, পরিচালক অথবা কোনো না কোনোভাবে যুক্ত থাকেন কেউ কেউ। কিন্তু অভিনয় ছেড়ে দিলে জ্যোতিকা জ্যোতি ময়মনসিংহের গৌরীপুরে চলে যাবেন, জড়িত হবেন কৃষিকাজে। প্রথম আলোর এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছিলেন তিনি।

দেশ–বিদেশের বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন জ্যোতিকা জ্যোতি। অভিনয়ের জন্য প্রশংসিতও হয়েছিলেন। আজ তাঁর জন্মদিন। ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ১৯৮৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এই অভিনেত্রী সব সময় গ্রামে স্থায়ী হতে চেয়েছেন। কৃষি তাঁর পছন্দের কাজ, এই কাজ তাঁর করতে মন চায়।
মাস্টার্স পড়ার সময়ই তিনি যোগ দিয়েছিলেন ময়মনসিংহের বহুরূপী নাট্যদলে। তবে এ নাট্যদলের হয়ে মঞ্চে ওঠার সুযোগ হয়নি তাঁর। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। ‘আয়না’ ছবির মধ্য দিয়ে ২০০৪ সালে তাঁর অভিনয়ের পথচলা শুরু হয়। এরপর ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’, ‘অনিল বাগচীর একদিন’, ‘জীবনঢুলি’, কলকাতায় ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’সহ একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয়ের শুরুতেই তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন প্রয়াত নায়ক মান্না ও নায়ক শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করার।

জ্যোতিকা জ্যোতি
ইনস্টাগ্রাম থেকে

জ্যোতি অভিনীত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ছিল ‘ব্রেকআপ’। ২০১০ সালে ‘ব্রেকআপ’–এ অভিনয় করেছিলেন তিনি। বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দায়ও দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। অনন্ত হীরার ‘স্বপ্নের পাঠশালা’ জ্যোতির প্রথম টিভি নাটক। তবে আলোচনায় আসেন ‘মোহনা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে। জ্যোতি অভিনীত ধারাবাহিক নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পালাবার পথ নেই’, ‘কলেজ রোড’, ‘আপন আপন খেলা’, ‘রঙ্গিলা’ ইত্যাদি। এ ছাড়া তিনি একাধিক একক নাটকে অভিনয় করেছেন।

২০১৩ সালে ‘কলেজ রোড’ ধারাবাহিকের জন্য আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ডস ধারাবাহিক নাটকে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৩ সালে ‘ভ্যালেন্টাইন স্পেশাল কমেডি আওয়ার’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপস্থাপনায় যাত্রা শুরু করেন। ২০০৪ সালে লাক্স-আনন্দধারা ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় সেরা দশে স্থান করে নিয়েছিলেন।