ফারিণ বললেন, সাহসিকতার সঙ্গে কিছু অস্বস্তিকর সত্য তুলে ধরে ‘সাবা’

একটি সংবাদ সম্মেলনে তাসনিয়া ফারিণ ও মেহজাবীন। ছবি: ফেসবুক থেকে

গতকাল শুক্রবার দেশের মাল্টিপ্লেক্সগুলোয় মুক্তি পেয়েছে মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত সিনেমা ‘সাবা’। একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ছিল সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনী। সেই প্রদর্শনী শেষে সিনেমাটি দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘সাবা’র সমালোচনা লিখেছেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ‘সাবা’র সমালোচনা নিয়ে মেহজাবীন প্রতিক্রিয়া লিখেছেন, ‘মনটা ভরে গেল।’

‘সাবা’ সিনেমার পোস্টারে মেহজাবীন চৌধুরী। ছবি: ফেসবুক

‘সাবা’র রিভিউয়ে ফারিণ লিখেছেন, ‘এটি কেবল একটি গল্প নয়, এটি মা-মেয়ের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে এক অসাধারণ যাত্রা। চরিত্রগুলো জটিলতা, দ্বন্দ্ব আর মানবিক অনুভূতির স্তরে স্তরে ফুটে ওঠে। গল্পটি সাদাকালো কোনো ক্যানভাসে আঁকা নয়; বরং সাহসিকতার সঙ্গে তুলে ধরে কিছু অস্বস্তিকর সত্য, যা আমাদের ভাবায়, থামিয়ে দেয়, আর হৃদয় ছুঁয়ে যায়।’

অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ।
ছবি: কবির হোসেন

সিনেমাটির গল্পের পাশাপাশি প্রধান চরিত্রের অভিনেতা মেহজাবীন চৌধুরী প্রশংসা করেছেন ফারিণ। এটি ছিল মেহজাবীন অভিনীত প্রথম সিনেমা। ফারিণ নিজের রিভিউয়ে মেহজাবীনকে নিয়ে লিখেছেন, ‘গভীর আবেগময় মুহূর্তের পাশাপাশি গল্পে রয়েছে হাস্যরস ও উষ্ণতা। কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনয়শিল্পী “সাবা”কেবল অভিনয়ই করেন না, জীবনের কথা তিনি এমন আন্তরিকতায় বর্ণনা করেন, যে দর্শক কখনো মুগ্ধ হন, কখনো আবেগাপ্লুত, আবার কখনো বিরক্তও হয়ে ওঠেন।’

আরও পড়ুন
মা ও মেয়ের সম্পর্কের গল্প নিয়ে সিনেমাটি। ছবি: ফেসবুক থেকে

সহকর্মীর এমন প্রশংসায় হৃদয় ছুঁয়ে গেছে মেহজাবীনের। তিনি সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘ফারিণের চোখে “সাবা”, এত ভালোবাসা...আমার প্রিয় তাসনিয়া ফারিণ। তোমার, এই রিভিউটা পেয়ে মনটা ভরে গেল। সিনেমাটি দেখেছ, এটাই অনেক বড় ব্যাপার ছিল। আর তোমার মন থেকে দেওয়া এই রিভিউ পুরো ‘সাবা’ টিমের জন্য বিশাল এক অনুপ্রেরণা। একজন সহকর্মী যখন কাজটাকে মন দিয়ে দেখেন, তখন তার চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু হয় না।’

মা ও মেয়ের সম্পর্ক নিয়েই সিনেমার গল্প। এতে মেহজাবীন চৌধুরী ছাড়াও অভিনয় করেছেন মোস্তফা মন্ওয়ার, রোকেয়া প্রাচী, সুমন পাটোয়ারি প্রমুখ। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মাকসুদ হোসেন।