২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

কলকাতায় যেতে না পারায় আফসোস পরীমনির

পরীমনিছবি : পরীমনির ফেসবুক

কলকাতা শহরে কয়েকটি পূজামণ্ডপের প্রধান ফটকে ‘ফেলুবক্সী’ নামটি অনেকেরই চোখে পড়েছে। শুটিং শেষ হওয়া এই চলচ্চিত্রের নায়িকা ঢালিউডের পরীমনি। চলতি বছরের শুরুতে ছবিটিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ঢালিউডে পরীমনির টালিউডে যাত্রা শুরু হয়। এখন ছবিটির মুক্তির অপেক্ষা। মুক্তির আগে দুর্গাপূজায় শুরু হয়েছে প্রচারণা। কলকাতার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি অলিগলিতে পৌঁছে গেছে ‘ফেলুবক্সী’ ছবির খবর। এদিকে কলকাতায় প্রচারণা চললেও যেতে পারেননি পরীমনি, তাই রয়ে গেছে আফসোস। মনটাও ভীষণ খারাপ। তাঁর সঙ্গে আলাপে তেমনটাই জানা গেল।

কলকাতার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি অলিগলিতে পৌঁছে গেছে ‘ফেলুবক্সী’ ছবির খবর

কলকাতার মণ্ডপে নিজের সিনেমার পোস্টার দেখে উচ্ছ্বসিত এই অভিনেত্রী। ফেসবুকে কলকাতার একটি স্থিরচিত্র শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘শিগগিরই আসছে লাবণ্য…।’ দেবরাজ সিনহা পরিচালিত এই ছবিতে পরীমনি ছাড়াও অভিনয় করেছেন সোহম, মধুমিতা সরকার প্রমুখ।

ছেলে পদ্মের জন্মের পর অভিনয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি। মাতৃত্বকালীন বিরতির শেষে ‘ফেলুবক্সী’ দিয়ে আবার বড় পর্দায় শুটিং শুরু করেন তিনি। এ ছবিটি দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে টালিউডে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন পরীমনি। ছবিতে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, ‘মনে হয়েছে এই সিনেমার লাবণ্য চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে পারব। সে কারণে চরিত্রটা করেছি। কতটা ভালো পারছি, সেটা মুক্তির পর দর্শকেরাই বলতে পারবেন।’

পরীমনি
ছবি : পরীমনির ফেসবুক

এদিকে প্রচারণা প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে পরীমনি বললেন, ‘পূজার মতো এত বড় একটি উৎসবে ছবির প্রচারণার ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে অনেক বড় বিষয়। আমার জন্য অনেক ভালো লাগার। খুব ইচ্ছা ছিল, প্রথম প্রচারণায়, পূজার মধ্যে ওদের সাথে থাকব। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে যেতে পারিনি। মনটা খারাপ। একটা আফসোস থেকে গেল। তবে যা হবে মনে হচ্ছে, ভালো কিছুই হবে।’

পরীমনি
ছবি : ফেসবুক থেকে

কথায় কথায় পরীমনি জানালেন, এই ধরনের প্রচারণার বিষয়টি অভিনয়শিল্পী হিসেবে ভীষণ রকমের প্রেরণার।

পরীমনি বললেন, ‘আমি এরই মধ্যে যা অনুভব করেছি, ওদের ভালোবাসাটা খুব খাঁটি। টের পাওয়া যায়। কেউ কিন্তু ভালোবাসা দেখালে তা আসল না নকল, বোঝা যাবেই। কলকাতার ওরা আমাকে যে ভালোবাসাটা দেখিয়েছে, তাতে খুব আপন মনে হয়েছে। কাছের মনে হয়েছে। অনেক দিন ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে থাকলে যে সম্পর্কটা তৈরি হয়, এটা সে রকমই মনে হয়। আমার সাথে এমনটা হয়েছে। আমি খুবই মনেপ্রাণে ওদের সাথে কাজ করতে চাই। সেই স্বাধীনতাও তারা আমাকে দিয়ে রেখেছে।’

এদিকে ‘ফেলুবক্সী’ ছবির পরিচালক দেবরাজ সিনহা ছবিটি সম্পর্কে বলেছেন, ‘ফেলুবক্সী একটি থ্রিলার ঘরানার ছবি। যদিও নামটি শুনলে মনে হতে পারে বাংলা সাহিত্য কিংবা সিনেমা কিংবদন্তি চরিত্রের প্রভাব রয়েছে। তবে নাম দেখে বিচার করতে বারণ করব দর্শকদের। চিত্রনাট্যের মজা উপভোগ করতে হলে সিনেমাটি দেখতে হবে।’