আমি ফেল করা লোক না যে ফেল করেছি: ডিপজল

মনোয়ার হোসেন ডিপজলছবি: সংগৃহীত

বেশ কিছুদিন আগে শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে আবারও এফডিসিতে অস্থিরতা। প্রথমে ভোটের ফল মেনে নিলেও নির্বাচনের এক মাস পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সমিতির নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে চিত্রনায়িকা নাসরিন আক্তার ওরফে নিপুণ আক্তার ১৪ মে রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০ মে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। ভোটে অনিয়মের অভিযোগে ঢাকার সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাগুলো (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষকে অনুসন্ধান করতে এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেয়।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ডিপজল আবেদন করেন, যার ওপর সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ডিপজলের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম সোমবার এ আদেশ দেন।

মিশা ও ডিপজল
ফেসবুক থেকে

ডিপজলের অন্যতম আইনজীবী এ কে খান উজ্জ্বল প্রথম আলোকে বলেন, ডিপজলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞাসংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। ফলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ডিপজলের দায়িত্ব ও কার্যক্রম পরিচালনায় আইনগত কোনো বাধা নেই।
আদালতের আদেশের পর সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন অভিনেতা ডিপজল। তাঁর ভাষ্য, ‘এই আদেশে সত্যের জয় পেয়েছি। যেটা সত্য, সেটা অবশ্যই সত্যই থাকবে। আমি তো ফেল করা লোক না যে ফেল করেছি। এটা তো পাস। আমি আদালতকে বলেছি, এটা আমার বিরুদ্ধে গিয়ে করেছে, বেআইনিভাবে। ঠিক করেনি। এই রায়ের পর শিল্পীরা যোগাযোগ করেছে, শুভকামনা জানিয়েছে। শিল্পীদের সঙ্গে থেকে কাজ করার ইচ্ছা আছে দেখেই গিয়েছিলাম এবং এখনো আছি। তাদের পক্ষেই কাজ করার চেষ্টা আছে এবং তা–ই করব।’

দুই বছরের কাজের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, ‘কাজ শুরু করার আগেই যদি মনমানসিকতা ভালো না থাকে, তো একটা লোক কীভাবে কাজ করবে। আমি তো শিল্পীদের পাশে থেকেই কাজ করতে গিয়েছি। আমার অবশ্যই ভালো কিছু করার পরিকল্পনা আছে, ভালো কিছু করব।’ শুধু তা–ই নয়, নিপুণ আক্তার আবারও আপিল করলে আইনি প্রক্রিয়াতেই তা মোকাবিলা করবেন বলেও জানান ডিপজল।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল নির্বাচিত হন।

মিশা ও ডিপজল নিপুণের গলায় মালা পরিয়ে দেন
ফেসবুক থেকে

নির্বাচনে সভাপতি মিশা সওদাগর মোট ভোট পান ২৬৫টি। অন্যদিকে মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ডিপজল পান ২২৫ ভোট। ১৬ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন নিপুণ আক্তার (২০৯)।