১০ বছর পর মুখোমুখি

প্রথম চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসার রং’-এ পূজা চেরি ছিলেন শিশুশিল্পী। ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া সেই ছবিতেই নায়িকা হিসেবে মাহিয়া মাহির অভিষেক। ছবিতে মাহির চাচাতো বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন পূজা। সেই পূজার সঙ্গেই এবার মাহির টক্কর, একই দিনে মুক্তি পেয়েছে দুই নায়িকার দুটি ছবি।

‘ভালোবাসার রং’ ছবির শিশুশিল্পী পূজা চেরি এখন পরিপূর্ণ নায়িকা। এরই মধ্যে কাজ করেছেন শাকিব খান, জিয়াউল রোশান, সিয়াম আহমেদ, জোভানসহ কয়েকজনের সঙ্গে। ৭ অক্টোবর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে পূজা চেরি অভিনীত হৃদিতা সিনেমা। আনিসুল হকের উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি পরিচালনা করেছেন যুগল পরিচালক ইস্পাহানি আরিফ জাহান। ‘হৃদিতা’ ছবিতে পূজা চেরির নায়ক এ বি এম সুমন, ‘ঢাকা অ্যাটাক’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যিনি প্রথম সবার নজর কাড়েন।

আরেকটি ছবিতে মাহিয়া মাহির সঙ্গে পর্দা ভাগাভাগি করেছেন পূজা চেরি। ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অগ্নি’ নামের সেই ছবিতে মাহির ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেন পূজা। এরপর তাঁদের দুজনকে আর একসঙ্গে কোনো চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি। ২০২২ সালে এসে যখন দুজনের দুটি ছবি ‘হৃদিতা ও যাও পাখি বলো তারে’ মুক্তি পেয়েছে, সেখানে অভিজ্ঞ মাহির পাশাপাশি শিশুশিল্পী পূজা চেরি পরিপূর্ণ একজন নায়িকা।
কেউ কেউ বলছেন, পর্দায় মুখোমুখি হলেন মাহিয়া মাহি ও পূজা চেরি। তবে বিষয়টিকে মোটেও মুখোমুখি কিংবা প্রতিযোগিতা মনে করছেন না পূজা চেরি। তিনি বললেন, ‘একই দিনে মাহি আপুর সঙ্গে ছবি মুক্তি পাওয়ার ব্যাপারটি আমার জন্য দারুণ উপভোগ্য। পুরো ব্যাপারটাই আমি উপভোগ করছি।’

পূজা চেরি। ছবি: ফেসবুক

গত শুক্রবার দুপুর পূজার সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল, তখন তিনি দর্শকদের সঙ্গে বসে হৃদিতা দেখার জন্য বাসা থেকে বের হচ্ছেন। এরই ফাঁকে কথায় কথায় বললেন, ‘মাহি আপু কেন, অন্য কোনো নায়িকার সঙ্গেও যদি আমার ছবি মুক্তি পায়, সেটাকে কখনোই প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখি না। আমার আরও গর্ব হয়, শিশুশিল্পী হিসেবে যাঁদের সঙ্গে ছোটবেলা থেকে অভিনয় করেছি, তাঁদের সঙ্গে নায়িকা হিসেবে আমার ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এসব দেখলে আমার আরও ভালো লাগে। কখনো কাউকে হিংসা করিনি, করবও না। ব্যাপারটা আমি বেশ এনজয় করি এবং করেও যাব।’

পূজা চেরি এ-ও বললেন, ‘শুধু তা-ই নয়, আমি চাইব, আমাদের দুজনের ছবিই ভালোভাবে ব্যবসা করুক। দর্শক প্রেক্ষাগৃহে এসে দুটি ছবিই দেখুন। এরপর তাঁরা তাঁদের ভালো লাগা কিংবা মন্দ লাগা, যা-ই হোক জানান। গঠনমূলক সমালোচনা করুন। সবকিছুর পর বাংলাদেশের বাংলা চলচ্চিত্র ভালো যাক, এটাই চাওয়া।’
মাহিয়া মাহি ও পূজা চেরির একই দিনে মুক্তি পাওয়া দুটি চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যাও সমান—সচরাচর এমনটা দেখা যায় না। দুটি চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাগৃহ সংখ্যাই ২১।
বন্ধুত্ব, ভালোবাসা ও ত্যাগের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘যাও পাখি বলো তারে’।

‘যাও পাখি বলো তারে’ ছবিতে মাহিয়া মাহি

পরিচালনা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। সিনেমাটি নিয়ে ভীষণ আশাবাদী মাহিয়া মাহি। ‘ভালোবাসার রং’ ছবি দিয়ে অভিষেক ঘটা মাহি ‘পোড়ামন’ দিয়ে প্রশংসিত হন। মুক্তি পাওয়া ‘যাও পাখি বলো তারে’ ছবিটি সেই পোড়ামনকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করেন এই তারকা। ছবিটি তাঁর জীবনের সেরা কাজ হয়ে থাকবে বলেও মনে করেন তিনি।