অনন্তর ছবিটি কেমন চলছে, তা জানিয়ে মধুবন সিনেপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এম ইউনুস বলেন, ‘ঈদের দিন থেকে ছবিটি চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো শো হাউসফুল হয়নি। ৩৪৫ আসনের সিনেপ্লেক্সে গড়ে ৩০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের শোতে অনন্ত-বর্ষা দর্শকদের সঙ্গে বসে ছবি দেখলেও হাউসফুল হয়নি।’
মধুবনে ‘দিন: দ্য ডে’ দেখার আগে অনন্ত-বর্ষা দম্পতি তাঁদের ভক্ত রানা আহম্মেদের নিমন্ত্রণে যান কাহালু উপজেলার নিমেরপাড়া গ্রামে। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ৩৪ কিলোমিটার দূরে এই গ্রামেই থাকেন শারীরিক প্রতিবন্ধী রানা। আজ দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে কাহালুর কালীপাড়া আই এইচ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পৌঁছানোর পর স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় বর্ষা বলেন, ‘আমি গ্রামের মেয়ে। রানার জন্য অনেক দিন পর আবার গ্রামে আসতে পারলাম। এ জন্য খুব ভালো লাগছে।’ এ সময় রানাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ঘোষণা দেন অনন্ত। এ ছাড়া নগদ দুই লাখ টাকা অর্থসহায়তা প্রদান করেন। অনন্ত বলেন, ‘আজকে বগুড়া আসার একটি বড় কারণ রানা। ওকে থাইল্যান্ড নিয়ে যাব চিকিৎসার জন্য। আমি চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’ পরে রানার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ শেষে তাঁকে নিয়েই মধুবন সিনেপ্লেক্সে ‘দিন: দ্য ডে’ দেখতে যান।
রানা আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ আমার খুশির দিন। আমার নিমন্ত্রণে স্যার (অনন্ত জলিল) ও ম্যাডাম (বর্ষা) আমার বাড়িতে এসেছেন। দুপুরের খাবার খেয়েছেন। বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী দই দিয়ে তাঁদের আপ্যায়ন করেছি। উনি অনেক বড় মনের মানুষ। শুধু আমার আবদার রক্ষায় বগুড়া এসেছেন।’ নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ২৮ বছর বয়সী রানা জানান, সাত বছর বয়সে তাঁর বাঁ পায়ে সমস্যা দেখা দেয়। অর্থাভাবে চিকিৎসা সম্ভব হয়নি। সেই থেকে এক পা অচল।