লিখিত আবেদন পেলে বছরে ১০টি হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানির ব্যবস্থা নেবে সরকার
চলচ্চিত্র অঙ্গনের সংশ্লিষ্টদের লিখিত আবেদন পেলে সিনেমা আমদানি ও দেশের হলগুলোতে প্রদর্শন করা সম্ভব। লিখিত আবেদন পেলে বছরে ১০টি হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানির ব্যবস্থা নেবে সরকার। আজ সোমবার দুপুরে সিনেমা হলমালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে এ কথা জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘যদি চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি ও প্রযোজক সমিতি—এই চার সমিতি লিখিত আবেদন দেয়, তাহলে আমরা বিষয়টা নিয়ে উদ্যোগ নেব। সবাইকে লিখিত দিতে হবে। কারণ, অতীতে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সমিতি চাইছে কিন্তু শিল্পী সমিতি চায় না।’
এই সময় হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘যে চলচ্চিত্রশিল্পের যাত্রা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল, সেই চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তার অন্যতম বড় পদক্ষেপ হচ্ছে এক হাজার কোটি টাকার স্বল্প সুদে ঋণ তহবিল। সেটির জন্য ৫০–এর অধিক দরখাস্ত পড়েছে। আমরা আশা করছি, সেগুলোর তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি হবে এবং আরও দরখাস্তকারী উৎসাহী আছেন।’
দিন দিন মানুষের রুচির পরিবর্তন হচ্ছে। শুধু দেশে নয়, সিনেমার শহর মুম্বাইতেও সিঙ্গেল স্ক্রিন অনেকগুলো সিনেমা হল বন্ধ হয়েছে, কলকাতাতেও তা–ই। কিন্তু সিনেপ্লেক্স দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংকের যে পুনঃ অর্থায়নযোগ্য ঋণ তহবিল, মার্কেটের মধ্যে সিনেপ্লেক্স করলে তার জন্যও প্রযোজ্য। আলাদাভাবে শুধু সিনেপ্লেক্স করার বাধ্যবাধকতা নেই। এই সময় মন্ত্রী ঋণসুবিধা তুলে ধরে বলেন, মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে ৫ শতাংশ সুদে আর মেট্রোপলিটন শহরের বাইরে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে এই ঋণ পাবেন এক বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ, যেখানে সাধারণ ঋণের সুদ ৯ শতাংশ।
আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনেমা হল মালিক ও প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন হাছান মাহমুদ।