‘সম্মান দেখিয়ে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের জন্য আরও সময় নেওয়া হচ্ছে’
কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জন ছিল, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল হতে যাচ্ছে। আজ রোববার বিকেলে শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে অবশ্য জানা গেল, জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে, বাতিল হয়নি। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে আরও পরে।
এফডিসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষ হয় বিকেল চারটায়। এরপর কার্যালয়সংলগ্ন বাগানে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক। এ সময় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা জ্যেষ্ঠ নেতারা কেউই সংবাদকর্মীদের সামনে আসেননি।
মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে সাইমন সাদিক বলেন, কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে জায়েদ খানের সমিতির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তের চিঠি পাঠানো হবে তাঁকে। এরপর সমিতির সদস্যপদ বাতিল করা হবে কি হবে না, তা কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলী ও জ্যেষ্ঠ শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে।
সদস্যপদ কেন স্থগিত করা হলো? এমন প্রশ্নের উত্তরে সাইমন বলেন, ‘শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের ৭ (ক) ধারায় বলা আছে—সাংগঠনিক উদ্দেশ্যাবলির পরিপন্থী, সংগঠনের স্বার্থের বিরুদ্ধে বা সংগঠনের অবমাননাকর কোনো কার্য করিলে সদস্যপদ বাতিল হবে। জায়েদ খান এ সবই করেছেন। বিশেষ করে ভুয়া কাগজ এনে সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে শপথ করেছিলেন। এ ছাড়া নানা সময়ে কমিটির সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে গণমাধ্যমে নানা ধরনের আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। আমাদের কাছে সেসব খবর, ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে। তাঁর এসব কথাবার্তা সবই সংগঠনপরিপন্থী। গঠনতন্ত্র মোতাবেক তাঁর সদস্যপদ শুধু স্থগিত নয়, বাতিলই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সম্মানিত সদস্য হওয়ায় সম্মান দেখিয়ে বাতিলের জন্য আরও সময় নেওয়া হচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে সাইমন আরও বলেন, শিল্পী ও শিল্পী সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখে শিল্পী সমিতি থেকে কারণ দর্শানোর একটি চিঠি দেওয়া হয় জায়েদ খানকে। কিন্তু তিনি সঠিক সময়ে উত্তর দেননি। এত দিন পর আজ রোববার সকালে একটি চিঠির উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পর চিঠিটি আসার কারণে কার্যনির্বাহী কমিটির কেউই সেটি আর পড়তে চাননি।
এদিকে, যখন কার্যনির্বাহী কমিটির সভা চলছিল, তখন কার্যালয়ের বাইরে কয়েকজন শিল্পীকে জায়েদ খানের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করতে শোনা যায়।
সে প্রসঙ্গে সাইমনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘এভাবে হেয় করতে পারেন না। যখন কয়েকজন শিল্পী জায়েদ খানের নামে আপত্তিকর মন্তব্য করছিলেন, আমরা কমিটির লোকজন তাঁদের সরিয়ে দিয়েছি। তবে যাঁরা এ কাজের সঙ্গে জড়িত, তাঁদেরও সমিতিতে ডাকা হবে। কেন তাঁরা এভাবে আরেকজন শিল্পীর নামে প্রকাশ্যে খারাপ মন্তব্য করবেন, এ ব্যাপারে কৈফিয়ত চাওয়া হবে।’