‘সুজন সখী’র ফারুক ভাইয়া, কবরী আপা, সালমান পৃথিবীতে নেই, ভাবতেই মনটা খারাপ হয়: শাবনূর

চিত্রনায়ক ফারুক ও শাবনূর
ফেসবুক

‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক ফারুক আমাদের সবাইকে ছেড়ে না–ফেরার দেশে চলে গেলেন! এই নিউজ শুনে গত দুই দিন আমি থমকে ছিলাম। ভাবছিলাম, কী বলব। কারণ, ঘটনাটি মেনে নিতে আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল।’ চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুর সংবাদ শুনে অস্ট্রেলিয়া থেকে এভাবেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা শাবনূর।

আরও পড়ুন

নিজের পোস্টে শাবনূর তুলে এনেছেন তাঁর সঙ্গে ফারুকের কিছু স্মৃতিও। শাবনূর লিখেছেন, ‘তাঁর সঙ্গে আমার অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে, যা বলে শেষ করা যাবে না। তাঁকে বাইরে থেকে অনেক গম্ভীর মনে হতে পারে কিন্তু আসলে উনি তা নন। আমার সঙ্গে ওনার প্রথম দিনের শুটিংয়ের ঘটনাটি ছিল মজার। আমি ভীষণ ইতস্তত বোধ করছিলাম ওনার সঙ্গে কথা বলতে। তারপর কথা বলে বুঝলাম, উনি আসলে ভীষণ মজার মানুষ। উনি খুব আদর করতেন আমাকে।’

ফারুকের সাদা–কালো দুটি সিনেমা ‘নয়ন মনি’ ও ‘সুজন সখী’র রঙিন সংস্করণে অভিনয় করেছিলেন শাবনূর।

সালমান শাহ, শাবনূর অভিনীত রঙিন “সুজন সখী”র পোস্টার
আইএমডিবি

সেগুলো দেখে ফারুক প্রশংসা করেছিলেন শাবনূরের। চিত্রনায়ক ফারুক তখন শাবনূরকে বলেছিলেন, তিনি এখন সুজন কিংবা নয়ন হতে পারলে শাবনূরকেই সখী ও মনি বানাতেন।

আরও পড়ুন

নিজের পোস্টে শাবনূর আরও লিখেছেন, ‘সাদা–কালো ও রঙিন “সুজন সখী”র অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে ফারুক ভাইয়া, কবরী আপা, সালমান শাহ তাঁরা কেউই পৃথিবীতে নেই। এই ব্যাপারটি ভাবতেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু তাঁরা সকলেই আমাদের মনে সারা জীবন বেঁচে থাকবেন। কারণ, মানুষের কখনো মরণ হয় না, শুধু জায়গা বদল হয়। আপনারা সকলে ফারুক ভাইয়ার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ তাঁকে জান্নাতবাসী করুক।’

সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হওয়া ফারুককে শুভেচ্ছা জানাতে ফুল নিয়ে গিয়েছিলেন শাবনূর। তখন তাঁর মাথায় হাত দিয়ে দোয়াও করে দিয়েছিলেন ফারুক। সে সময় ফারুক শাবনূরকে বলেছিলেন, ‘তুই সিডনি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল খুলে সমাজের জন্য অনেক ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছিস। আমি শিগগিরই তোর স্কুল ভিজিট করতে যাব।’ তাঁর আর ভিজিট করা হলো না।

গত সোমবার সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চিত্রনায়ক ফারুক। গত মঙ্গলবার মরদেহ দেশে আনা হয়। এরপর শহীদ মিনার ও এফডিসিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে ফারুককে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়; সেখানে তাঁর প্রথম জানাজা হয়, এরপর গুলশানে আজাদ মসজিদে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় তাঁর গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাবার কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।