বিয়ে নিয়ে সমালোচনার জবাব দিলেন শবনম ফারিয়া
ছোটপর্দার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। গত সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয়বার বসেছেন বিয়ের পিঁড়িতে। তাঁর মসজিদে বিয়ে এবং স্বামীকে নিয়ে বক্তব্যে নানামুখী আলোচনা হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে পর্দায় তেমন জোরালো উপস্থিতি নেই এই অভিনেত্রীর। বিয়ে ও স্বামীকে নিয়ে বেশ খোলামেলা আলাপ করেছেন দেশ টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে। জানিয়েছেন, মসজিদে বিয়ের সিদ্ধান্তটা আসলে কার ছিল? স্বামীর বয়স নিয়েও একেবারে সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়েছেন শবনম ফারিয়া।
মসজিদে বিয়ের পরিকল্পনা আসলে কার ছিল? উপস্থাপিকার এমন প্রশ্নের জবাবে শবনম ফারিয়া বলেছেন, মসজিদে বিয়ের পরিকল্পনা একেবারেই তিনি বা তাঁর স্বামী নেননি। উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে ফারিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো ছেলে বা মেয়ে যখন বিয়ে করে তখন কি ছেলে বা মেয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেন? সেভাবেই যেহেতু বাবা নেই, অভিনেত্রীর জীবনের যেকোনো সিদ্ধান্ত মা ও বড় দুই বোন-বোন জামাইয়ের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে আসতে হয়।’
মসজিদে বিয়ের ব্যাপারটা গোপন রাখতে চেয়েছেন অভিনেত্রী, বিবাহোত্তর সংবর্ধনা দিয়েই বিয়ের খবর জানাতে চেয়েছিলেন। ব্যাপারটা মসজিদ থেকেই কোনো এক গণমাধ্যমে জানানো হয়েছিল। এরপর মসজিদ থেকেই একটা ছবি কেউ তুলেছে। সেটাই পত্রিকায় এসেছে। না জানিয়ে বিয়েটা মানুষ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। পরে স্বামীর পরামর্শে ফেসবুকে বিষয়টা জানিয়েছেন শবনম ফারিয়া।
শুধু তাই নয়, স্বামীর বয়স নিয়েও মানুষের মনে নানা প্রশ্ন জেগেছিল সেই সময়। এ ব্যাপারে শবনম ফারিয়া বলেন, ‘আমার হাজব্যান্ড অনেক ফিট। সে কারণে তাকে তরুণ দেখায়। কিন্তু ওর অনেক বয়স। সেটা একদমই বোঝা যায় না। আমার থেকে বেশ বড়।’ যদিও সে সময় শ্বশুরবাড়ি থেকে খুব সহযোগিতা পেয়েছিলেন ফারিয়া। শ্বশুর-শাশুড়ি অভিনেত্রীকে বলেছেন, এসবে পাত্তা না দিতে, তিন–চার দিন পর এমনিতেই মানুষ এসব ভুলে যাবে।
শবনম ফারিয়ার স্বামীর নাম তানজিম তৈয়ব, তিনি রাজশাহীর ছেলে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলস থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত। ২০১৮ সালে হারুনুর রশীদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন এই অভিনেত্রী।