বড় পর্দায় প্রথম

এবার বড় পর্দা ভাগাভাগি করবেন মিথিলা ও ইমনকোলাজ

একসঙ্গে বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। নাটকেও একসঙ্গে অভিনয় করা হয়েছে। ২০০৭ সালে এ জুটির টেলিফিল্ম ‘ঘুম’ বেশ আলোচিত হয়েছিল। এবার বড় পর্দা ভাগাভাগি করবেন ইমন ও মিথিলা। ছবির নাম ‘নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়’। শাহরিয়ার কবিরের কিশোর উপন্যাস থেকে সিনেমাটি তৈরি করছেন লুবনা শারমিন। এটি ২০২০-২১ সালের বাংলাদেশ সরকারের অনুদানের ছবি।

রহস্য, গোয়েন্দা আর অ্যাডভেঞ্চার গল্পের এই ছবিতে নেলী খালার চরিত্র করছেন মিথিলা ও মেজর জাহিদ চরিত্রে ইমন। এটি ইমনের খুব পছন্দের গল্প। বললেন, ‘আগেই আমার উপন্যাসটি কয়েকবার পড়া। রোমাঞ্চকর গল্প।’

মিথিলার সঙ্গে জুটি বেধে বড় পর্দায় কাজের ব্যাপারে ঢালিউডের এই নায়ক বলেন, ‘একসময় ছোট পর্দায় মিথিলার সঙ্গে আমার বেশ কিছু কাজ হয়েছে। আমাদের দুজনের ঘুম টেলিফিল্মটি দেখে ২০০৭ সালের দিকেই এফডিসি থেকে বেশ কয়েকজন পরিচালক সিনেমার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। করা হয়নি। এবার আশা করছি, এই ছবিতে একসঙ্গে  স্বাচ্ছন্দ্যেই কাজটি করতে পারব।’ প্রায় এক যুগ হয়ে গেল সিনেমায় অভিনয় করছেন ইমন। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০টি ছবিতে কাজ করেছেন। তবে অনুদানের ছবি এটিই প্রথম।

রাফিয়াত রশিদ মিথিলা
সংগৃহীত

মিথিলা বলেন, ‘এমনিতে আমাদের দেশে ছোটদের নিয়ে কাজ কম হয়। শিশুদের নিয়ে থাকা, শিশুদের জন্য কাজ করা আমার বিশেষ পছন্দ। এ ছবিতে সুযোগটা মিলল। আর ইমনের সঙ্গে আগে থেকেই বোঝাপড়া ভালো। সব মিলিয়ে এ ছবিতে কাজ করে মজা পাব আশা করি।’

অভিনয়শিল্পী ইমন

ছবিটির পরিচালক লুবনা শারমিন ২০১৬ সালে ভারতের সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা করেছেন। এটি তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। পরিচালক বলেন, ‘আমার বয়স যখন ১৪ বা ১৫, তখন এই উপন্যাস পড়ি। পড়ার সময় চরিত্রগুলো সিনেমার মতো চোখের সামনে ভাসত। তখন থেকেই উপন্যাসটি নিয়ে সিনেমা করার ইচ্ছা। এত দিন পরে এসে শেষ পর্যন্ত এটি নিয়ে ফিল্ম করতে পারছি।’

মূল উপন্যাসের গল্প ঠিক রেখেই ছবির চিত্রনাট্য করেছেন পরিচালক। এতে চার কিশোরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাহিন, স্বপ্নিল, ইসরাত ও শ্রীয়া। মিথিলা ও ইমনকে জুটি করা প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, ‘মেজর জাহিদ চরিত্রটির জন্য যে রকম চেহারা, শারীরিক গঠন দরকার—সবই ইমনের আছে। এ কারণেই তাঁকে নেওয়া। আর বাস্তব জীবনে মিথিলার চলাফেরা যে রকম, নেলী খালা চরিত্রটি অনেকটা তেমনই।’
ঢাকার লোকেশনে এরই মধ্যে ছবির প্রথম ধাপের পাঁচ দিনের কাজ শেষ হয়েছে। ২৮ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হবে।