যেসব সিনেমা হলে ‘কথা দিলাম’

শুক্রবার নতুন সিনেমার দিন ফিরে এসেছে। নতুন বছরে প্রায় প্রতি শুক্রবারে মুক্তি পাচ্ছে নতুন নতুন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। যদিও খুব বেশি যে সাড়া পড়ছে, তা নয়। আজ শুক্রবারও নতুন দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস সামনে রেখে আজ মুক্তি পেয়েছে ‘মন দিয়েছি তারে’ এবং ‘কথা দিলাম’। বলা বাহুল্য, এগুলো ভালোবাসার গল্পে নির্মিত সিনেমা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দুটি নতুন সিনেমার মধ্যে ‘মন দিয়েছি তারে’ দেখা যাবে দেশের ১৫টি প্রেক্ষাগৃহে। অন্যদিকে ‘কথা দিলাম’ ছবিটি পেয়েছে ১৩টি হলে। এবার যেনে নেওয়া যাক, শুক্রবার মুক্তি পাওয়া ‘কথা দিলাম’ সিনেমার সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য।
সিনেমাটিতে প্রথমবার জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন একসময়ের আলোচিত অভিনেত্রী কেয়া ও নবীন অভিনেতা জামশেদ শামীম। জসিম উদ্দিন প্রযোজিত সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন রকিবুল আলম সিনেমার সংলাপ লিখেছেন আবদুল্লাহ জহির বাবু।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, নতুন বছরে মুক্তির দিক দিয়ে এটিই কেয়ার প্রথম সিনেমা। তাঁর ভাষায়, ‘আমার চরিত্রটি বেশ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত এবং চরিত্রটির প্রাণ প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট শ্রম দিতে হয়েছে। গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মিত এটি ভিন্ন স্বাদের একটি গল্প। পরিবার নিয়ে দেখার মতো একটি সিনেমা। আশা করছি, সিনেমাটি মুক্তি পেলে সবার ভালো লাগবে।’

আর অভিনেতা জামশেদ শামীম বলেন, গল্পের প্রয়োজনে দর্শক সিনেমাটি দেখবে। সিনেমার ভেতর ধারা বুঝি না। ভালো গল্প ও নির্মাণ হলেই দর্শক সিনেমাটি উপভোগ করবে। অভিনেতা হিসেবে বুঝি গল্প ও চরিত্র। এটি তেমনই। গল্পটি চমৎকার, গানগুলো ভালো লাগার মতো। সবাইকে সিনেমাটি দেখার অনুরোধ করব।
নির্মাতা রকিব বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশে গ্রামীণ পটভূমির চলচ্চিত্র ছিল বেশ জনপ্রিয়। নব্বই দশকেও এ ধরনের চলচ্চিত্রের প্রতি দর্শকদের ব্যাপক আগ্রহ ছিল। তবে বর্তমানে এ ধরনের সিনেমা তেমন একটা নির্মিত হচ্ছে না। কিন্তু আমি নতুন জুটি নিয়ে গ্রামীণ গল্পে সিনেমাটি নির্মাণ করেছি। আশা করছি, সবার ভালো লাগবে।’

প্রযোজক জসিম উদ্দিন নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘একটি সিনেমা বানানোর পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সিনেমা মুক্তি। আমার মনে হয় অন্তত এক মাস সময় পেলে সিনেমার প্রচারণা করে ইতিবাচক ফল আসে। কিন্তু প্রযোজক সমিতি থেকে সময় নিয়ে রাখলেও জটিলতা দেখা দেয় হল পাওয়া নিয়ে। মুক্তির দুই-তিন দিন আগে জানা যায়, কোথায় কোথায় চলবে সিনেমাটি। আগে জানা থাকলে ওই সব স্থানে গিয়ে সিনেমার প্রচারণা করা যায়। তারপরও চেষ্টা করছি মানুষের কাছাকাছি পৌঁছানোর।’

সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন সমু চৌধুরী, জ্যাকি আলমগীর, পরাগ বিশ্বাস, কাজল, শেখ স্বপ্না, শাইলা, হাসিমন, সুচনা শিকদার, জাহিদ ইসলাম, তাহমিনা মনা প্রমুখ। সিনেমায় পাঁচটি গান রয়েছে। সব কটি গানই লিখেছেন জসিম উদ্দিন। গেয়েছেন এস এই টুটুল, আকাশ সেন, সালমা, এস কে শানু ও হৈমন্তী রক্ষিত দাস।
যেসব প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে কথা দিলাম:
চিত্রামহল (পুরান ঢাকা), বিজিবি অডি (ঢাকা), আনন্দ (ফার্মগেট, ঢাকা), সেনা অডি (সাভার), নিউ মেট্রো (নারায়ণগঞ্জ), মডার্ন সিনেমা (দিনাজপুর), তামান্না সিনেমা (সৈয়দপুর), রাজিয়া সিনেমা (নাগরপুর), মাধবী সিনেমা (মধুপুর), রুনা সিনেমা (চালাকচর), স্বপ্নপুরী (শ্রীনগর), পূর্বাসা সিনেমা (শান্তাহার), আনন্দ সিনেপ্লেক্স (গুরুদাসপুর)।