নায়িকা মুক্তি যে কারণে সিনেমাজগৎ ছেড়েছেন

অভিনেত্রী রুমানা ইসলাম মুক্তিসংগৃহীত

ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুমানা ইসলাম মুক্তি। গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ সিনেমায় চম্পার মেয়ে গোপী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছিল মুক্তির। ‘চাঁদের আলো’তে চিত্রনায়িকার চরিত্র। জনপ্রিয় লেখক ও পরিচালক হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমায় জমিদারের নাতনির চরিত্রে অভিনয় করে মন জয় করে নেন দর্শকদের। এরপর চাষী নজরুল ইসলামের ‘হাসন রাজা’ ছবিতেও অভিনয় করেন মুক্তি। এরপর কয়েকটি সিনেমা করার পর আর বড় পর্দায় দেখা মেলেনি অভিনেত্রীর।
সম্প্রতি বেসরকারি চ্যানেল দেশ টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চলচ্চিত্র, এফডিসি এবং আবার অভিনয়ে ফিরছেন কি না—প্রশ্নের জবাব দেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রী আনোয়ারার কন্যা মুক্তি বলেন, ‘দুই বছর পর এখানে আসলাম। এখন দেখছি, সবাই শিল্পী সমিতিতে আসছেন, গল্প করছেন। এফডিসিটা আসলে আমাদের, এফডিসিটা আমরা নতুন করে ফিরে পেয়েছি। এমনই মনে হচ্ছে।’

সিনেমা প্রসঙ্গে মুক্তি বলেন, ‘সিনেমার প্রস্তাব তো অনেক পাচ্ছি। ভালো সিনেমা হলে করব। তবে আমি আগেই বলেছি, আমি বাণিজ্যিক ঘরানায় যেতে চাচ্ছি না। যদি অফট্র্যাকে ছবি হয়, ভালো ছবি হয়, তাহলে করব। কিন্তু আমি কমার্শিয়ালে যাব না। আমি আসলে বাণিজ্যিক সিনেমার জন্য উপযুক্ত নই। খোলামেলা পোশাক পরতে হয়। যেটা প্রয়োজন। আমি বেশির ভাগই করেছি অফট্র্যাক টাইপের ছবি। যেমন “পদ্মা নদীর মাঝি”। এটাতে শিশুশিল্পী হিসেবে আমি অভিনয় করেছিলাম। এরপর “চাঁদের আলো” করলাম। এরপর হুমায়ুন আহমেদের “শ্রাবণ মেঘের দিন”। তারপর করলাম “হাসন রাজা”। এ ধরনের ছবিগুলোই আমার ভালো লাগে।’

মা অভিনেত্রী আনোয়ারার সঙ্গে মুক্তি
সংগৃহীত

চলচ্চিত্র থেকে সরে যাওয়ার কারণও বলেন একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। মুক্তি বলেন, ‘সরে আসার কারণ হচ্ছে, আমার বাবা স্ট্রোক করেন। তাঁকে দেখার লোক ছিল না। আমার ভাইবোন ছিল না। এমন রোগীদের অনেক সময় দিতে হয়। আব্বা পাঁচ বছর বিছানায় ছিলেন। এরপর যখন মারা গেলেন, তখন আমার মা–ও স্ট্রোক করলেন। তখন মাকে দেখাশোনা করতে হয়েছে। মা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়েছেন। সে জন্য বলছি, ভালো ছবি হলে করব।’