২৫০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে কানাডায় ‘হাওয়া’ দেখলেন তাঁরা

‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের দৃশ্যে নাজিফা তুষি
ছবি : সংগৃহীত

‘হাওয়া’ ছবির সাফল্য দেশের বাইরেও ছড়িয়েছে। তাই তো দেশের বাইরে থাকা প্রবাসী বাঙালিদের অনেকে পরিবার নিয়ে ছবিটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছেন। কানাডায় আইকো কাজী নামের একজন তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ২৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ছবিটি দেখেছেন বলে জানান ফেসবুকে। আইকো কাজী নব্বই দশকের জনপ্রিয় তীর্থক ব্যান্ডের ভোকাল। এখন পরিবার নিয়ে কানাডায় থাকেন। সেখানকারই একটি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি দেখেন তিনি।

তীর্থক ব্যান্ডের ভোকাল আইকো কাজী
ছবি : সংগৃহীত

তীর্থক ব্যান্ডের ভোকাল আইকো কাজী চাকরির সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে কানাডার নোভা স্কশিয়ার ছোট্ট শহর এন্টিগনিশে থাকেন। গত শনিবার দুপুরে তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘২৫০ কিলোমিটার পথ ড্রাইভ করে “হাওয়া” সিনেমা দেখলাম, রেকর্ড বটে।’ গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ১১৭ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।
ছবি দেখার অভিজ্ঞতা জানতে প্রথম আলো যোগাযোগ করে আইকো কাজীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নোভা স্কশিয়ার ক্যাপিটাল হ্যালিফ্যাক্সের স্কশিয়া থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। আমার বাসা থেকে থিয়েটারে দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার। শুক্রবার অফিস শেষ করে স্ত্রী ও মেয়েকে সঙ্গে করে ছবিটি দেখতে গিয়েছিলাম। ছবি দেখতে যাওয়া–আসা মিলিয়ে ৫০০ কিলোমিটার গাড়ি চালাতে হয়েছে।’

মুক্তির এক মাস পার করেছে ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্র

কথায় কথায় জানালেন ‘হাওয়া’ ছবিটি তাঁর ভালো লেগেছে। আইকো কাজী বলেন, ‘নেটফিক্সেই বিভিন্ন দেশের ছবি দেখা হয়। আমরা প্রবাসীরা বাংলা ছবি দেখতে চাই। কিন্তু ওই মানের ছবি তো এখানে পাওয়া যায় না। এই ছবিটি বাংলাদেশে বেশ আলোচনা তৈরি করেছে। তাই দেখতে গিয়েছিলাম। ভালো লেগেছে। নির্মাণ ভালো। বিশেষ করে সিনেমাটোগ্রাফি, মিউজিক অসাধারণ। ছবিতে সমুদ্রের ভেতরে যে রং তৈরি করেছে, চোখের আরাম পেয়েছি। “পরাণ” ছবিটিও দেখার ইচ্ছা আছে। “শনিবার বিকেল” ছবিটির কথাও শুনেছি। মুক্তির পর আমাদের এখানে চললে দেখব।’

‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের দৃশ্যে নাজিফা তুষি
ছবি : সংগৃহীত

২০১২ সাল স্থায়ীভাবে কানাডায় চলে যান এই ব্যান্ড তারকা। তাঁর চলে যাওয়ার পর থেকেই ‘তীর্থক’ ব্যান্ডটি অনিয়মিত হয়ে যায়। তবে দলের সদস্যদের একে অপরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে এখনো। কানাডায় যাওয়ার পর সেন্টেনিয়াল কলেজে মিউজিক আর্টস অ্যান্ড পারফরম্যান্সের ওপর অ্যাডভান্স ডিপ্লোমা করেন আইকো। সেই সময় কলেজের ছাত্র ও শিক্ষক মিলে ‘লস্ট ইন সাইন্ড’ নামে একটি ব্যান্ড গঠন করেন তিনি। যদিও সেটি বেশি দিন টেকেনি। আইকো বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে এসে কলেজে পড়ার সময় এই ব্যান্ডটি গঠন করি। পরে চাকরির সুবাদে অন্য শহরে চলে যাওয়ার কারণে ব্যান্ডটি আর নিয়মিত করতে পারিনি।’

‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্য
ছবি : সংগৃহীত

ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও প্রবাসে গানের চর্চা অব্যাহত আছে বলে জানালেন আইকো কাজী। নিজ শহর ছাড়াও আশপাশের শহরে বাঙালি এলাকাগুলোতে স্টেজ শো করছেন নিয়মিত। বললেন, ‘সপ্তাহখানেক আগেও টরন্টোতে রক ফেস্টিভ্যালে শো করলাম। অফিস সময়ের বাইরে সুযোগ হলেই বাঙালি কলোনিগুলোতে শো করি।’ এ ছাড়া পাশাপাশি নিজের স্টুডিওতে বিজ্ঞাপনের মিউজিক, সেখানকার কয়েকটি বাংলা চ্যানেলের জন্যও কাজ করেন এই সংগীতশিল্পী।