এশিয়ান সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করা চলচ্চিত্র নিয়ে আয়োজন করা হয় জগজা-নেটপ্যাক এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ২৬ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় শুরু হবে উৎসবের ১৭তম আসর, চলবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারের উৎসবে ‘এশিয়ান পারস্পেকটিভ’ বিভাগে অফিশিয়াল মনোনয়ন পেয়েছে বাংলাদেশের ছবি ‘আম কাঁঠালের ছুটি’। ছবিটির পরিচালক মোহাম্মদ নূরুজ্জামান।
এটা নির্মাতার প্রথম ছবি। তিনি জানান, ২৭ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় ‘আম কাঁঠালের ছুটি’র প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ২৯ নভেম্বর রাত ৮টায় থাকবে সিনেমাটির আরও একটি প্রদর্শনী। জগজা-নেটপ্যাক এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে ২৫ নভেম্বর রাতে জাকার্তার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি।
শরীফ উদ্দিনের ছোটগল্প অবলম্বনে শিশুতোষ ঘরানার চলচ্চিত্র ‘আম কাঁঠালের ছুটি’। নির্মাতা মনে করেন, ছবিটি দেখে দেশের শিশুরা হারাতে বসা প্রাকৃতিক পরিবেশ ও নিজস্ব লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হবে। তিনি জানান, সত্তর-আশি কিংবা মধ্য নব্বইয়ের দশকে শিশু-কিশোর তাদের শৈশব-কৈশোর যেভাবে পার করেছেন, সেই যাপিত জীবনের নস্টালজিক আবহে তৈরি ছবিটি। নূরুজ্জামান আরও বলেন, কারও সঙ্গে মিশতে না পারা আট বছর বয়সী একটি শহুরে ছেলে গ্রীষ্মের ছুটিতে গ্রামে বেড়াতে এসে কীভাবে নতুন এক জগৎ আবিষ্কার করে, খুঁজে পায় বন্ধুত্ব আর রোমাঞ্চের স্বাদ, তারই আখ্যান এই পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
সিনেমাকার প্রযোজিত চলচ্চিত্রটির পেছনে রয়েছে নির্মাতার দীর্ঘ সাত বছরের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের গল্প। ছোট একটি কারিগরি ইউনিট আর আনকোরা একদল অপেশাদার অভিনয়শিল্পী নিয়ে গাজীপুরের হারবাইদ–সংলগ্ন পঁচিশ-ত্রিশ কিলোমিটারজুড়ে ছড়িয়ে থাকা লোকেশনে দৃশ্য ধারণ করা হয়। ম্যাক সাব্বিরকে সঙ্গে নিয়ে ছবিটির সিনেমাটোগ্রাফিতে যুক্ত ছিলেন নির্মাতা।
প্রযোজনা, পরিচালনা, চিত্রনাট্য রচনার পাশাপাশি সাউন্ড ডিজাইন করেছেন মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। ছবিতে অভিনয় করেছে লিয়ন, জুবায়ের, আরিফ, হালিমা, তানজিল প্রমুখ। ছবিতে প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে ছিলেন ‘আদিম’খ্যাত পরিচালক যুবরাজ শামীম।