অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জায়েদের এফিডিসি প্রবেশ ঠেকাবে ১৮ সংগঠন

জায়েদ খান ও মিশা সওদাগর
সংগৃহীত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠনের। তারা মিশা-জায়েদ খানকে বর্জন করে। শিল্পী সমিতি থেকে তাঁদের দুজনের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়। কিন্তু ওই ঘটনার সুরাহা না করেই মিশা সওদাগর আমেরিকা উড়াল দিয়েছেন। বিষয়টি ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন ১৮ সংগঠনের নেতারা।

এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঠকে বসেন ১৮ সংগঠনের নেতারা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু জানান, মিশা সওদাগরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর হয়েছে। আর জায়েদ খান যেন এফডিসিতে প্রবেশ না করতে পারেন, সে বিষয়ে এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর লিখিত আবেদন জানানো হবে। কারণ জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অনেক সংগঠনের নেতারা ক্ষুব্ধ। এফিডিসিতে যাতে অপ্রীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি না হয়, তাই এ সিদ্ধান্ত।

মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান
সংগৃহীত

খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘মিশা কেন বয়কটের কোনো সুরাহা না করেই দেশ ছাড়লেন, তা আমরা জানি না। এমন দায়িত্বহীন আচরণে তাঁর প্রতি আমরা সবাই ক্ষুব্ধ। তাই মিশার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও জোরালোভাবে বহাল থাকবে।’

জায়েদ খানের বিষয়ে জানতে চাইলে খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘জায়েদ খানের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল সংগঠনগুলো। তারা প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যে এত দিনে তিনি কেন পদত্যাগ করছেন না। সবার মধ্যেই উত্তেজনা ছিল। আমরা দেখলাম যে এই ক্ষোভ যেকোনো সময় ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাতে একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আমরা ভেবেছি, মিশা–জায়েদ খানের এ বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত জায়েদ খান যেন এফডিসিতে না আসেন, সে ব্যাপারে এফডিসির এমডি মহোদয়কে চিঠি দেব। এ বিষয়টির সমাধান হলে যেন আসেন, এর আগে যেন না আসেন।’

তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্রের জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তাঁরা।

এ বিষয়ে জায়েদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘শিল্পী সমিতির দোষ–ত্রুটি শিল্পী সমিতি দেখবে। এটা নিয়ে অন্য সংগঠন কথা বলতে পারে না। এটা কেপিআইভুক্ত এরিয়া। এখানে কে আসবে না আসবে, এ সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার করে যখন-তখন শিল্পীদের সদস্যপদ বাতিল করা, দুর্নীতি, চলচ্চিত্রের উন্নয়ননীতির বিরুদ্ধে শিল্পীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগ আনে চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠন।