অসচ্ছল ও অক্ষম শিল্পীদের জন্য ট্রাস্ট

অভিনয়শিল্পীদের সার্বিক কল্যাণ ও তাঁদের নির্বিঘ্নে কাজ করে যাওয়া নিশ্চিত করতে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২০’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।প্রতীকী ছবি

চলচ্চিত্রশিল্পীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা অসচ্ছল ও অক্ষম শিল্পীদের আর্থিক সহায়তার জন্য একটি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সেই মোতাবেক অভিনয়শিল্পীদের সার্বিক কল্যাণ ও তাঁদের নির্বিঘ্নে কাজ করে যাওয়া নিশ্চিত করতে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২০’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অসচ্ছল ও অক্ষম শিল্পীদের কল্যাণ ও চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনটি তৈরি করা হয়েছে। এই আইনের মূল লক্ষ্য চলচ্চিত্রশিল্পীদের কল্যাণ সাধন, তাদের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ, অসচ্ছল, পেশাগত কাজে অক্ষম শিল্পীদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দেওয়া।

এফডিসির ক্যান্টিনের পেছনে ফাঁকা জায়গায় বসে আছেন কয়েকজন এক্সট্রা চরিত্রের অভিনয়শিল্পী
ছবি: সংগৃহীত

এ ছাড়া তিনি আরও জানান, অসচ্ছল শিল্পীদের মৃত্যু হলে তাদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে এই ট্রাস্ট। ট্রাস্টের আওতায় একটি তহবিল থাকবে। সেখানে ফান্ড তৈরি করে কার্যক্রম চালানো হবে। তহবিলে একটি সিড মানি দেওয়া হবে এবং পরবর্তীকালে বাজেট থেকে বার্ষিক একটি বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ ছাড়া এই ট্রাস্ট পরিচালনার জন্য একটি পরিচালনা বোর্ড থাকবে, যার চেয়ারম্যান থাকবেন তথ্যমন্ত্রী। সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকও থাকবেন এই ট্রাস্টের। তবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিল্পীকল্যাণে আরেকটি ট্রাস্ট রয়েছে। একই শিল্পী দুই ট্রাস্টের আওতায় সাহায্য নিতে পারবেন না।

জায়েদ খান।
ছবি: সংগৃহীত।

এই ট্রাস্ট গঠন চলচ্চিত্রশিল্পীদের জন্য আনন্দের সংবাদ বলে মনে করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তিনি জানান, শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে কয়েক বছর ধরে তাঁদের চাওয়া ছিল এই ট্রাস্ট। বিভিন্ন সময় শিল্পীদের সহায়তা ইস্যুতে সমালোচনার মুখে পড়ত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। ট্রাস্ট গঠিত হলে সেই সমালোচনা কমবে। এ ছাড়া অসহায় শিল্পীদের একটি আশ্রয়ের জায়গাও তৈরি হবে। তিনি আরও বলেন, ‘কল্যাণ ট্রাস্টের খসড়া অনুমোদন হওয়ায় আমরা খুব খুশি। এটা আমাদের অনেক দিনের চাওয়া ছিল। আমাদের চাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে আসায় প্রমাণিত হলো তিনি আমাদের শিল্পীদের মা। সরকারপ্রধানকে ধন্যবাদ।’

এফডিসির প্রযোজক সমিতির সামনে বসে আছেন কয়েকজন এক্সটা চরিত্রের অসহায় দুজন অভিনেত্রী
ছবি: সংগৃহীত।