আঙ্কেল কষ্ট পেলে ক্ষমা চাইবেন দীঘি, কিন্তু...

শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে দীঘি অভিনীত ছবি ‘তুমি আছো, তুমি নেই’
ছবি : প্রথম আলো

সিনেমা মুক্তি দীঘির জীবনে নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে নায়িকা হিসেবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে প্রথম ছবি, এটি নিশ্চয়ই তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা। আর এ ঘটনার প্রাক্কালে বিতর্কে জড়িয়ে গেছেন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘তুমি আছো, তুমি নেই’ ছবির ট্রেলার নিয়ে মন্তব্য করে এখন মামলার হুমকির মুখে দীঘি।

প্রার্থনা দীঘি
সংগৃহীত

খবর বেরিয়েছিল, দীঘির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিন্তু সেই মামলার কোনো নোটিশ এখনো হাতে পাননি এই অভিনেত্রী। এ নিয়ে অবশ্য খুব একটা চিন্তিত মনে হয়নি তাঁকে। বরং তাঁর চিন্তা, জ্যেষ্ঠ নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু কষ্ট পেলেন কি না, তা নিয়ে। এ প্রসঙ্গে দীঘি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আঙ্কেল কষ্ট পেলে আমি তাঁর কাছে ক্ষমা চাইব। কিন্তু আমার সঙ্গে তাঁদের কেউ যোগাযোগ করছেন না। আমিও যোগাযোগ করতে পারছি না। তাঁরা কি তবে আদালতের মাধ্যমেই কথা বলবেন? তাহলে তো আমাদেরও আদালতের মাধ্যমেই কথা বলতে হবে।’

যে অভিযোগে দীঘির বিরুদ্ধে মামলার কথা উঠেছে, সেটি অস্বীকার করেছেন তিনি। দীঘি বলেন, ‘আমি কখনোই বলিনি যে এই ছবি চলবে না। ছবিটা আমার, আমি এর নায়িকা, আমি কেন বলব যে ছবিটি চলবে না? আমি বরং বলেছি যে ট্রেলারটি ভালো হয়নি। আমি এখনো বলছি ট্রেলারটি ভালো হয়নি। আমি ট্রেলার দেখে টুকটাক সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছিলাম। তাঁরা সেসব করেননি। তাঁরা প্রযোজক। ছবিটা যতটা না আমার, তার চেয়ে বেশি তাঁদের। তাঁরা যা ভালো মনে করবেন, সেটাই করুক।’

বাবা সুব্রত ও মা দোয়েলের সঙ্গে ছোট্ট দীঘি
ছবি : সংগৃহীত

‘জীবনের প্রথম ছবি নিয়ে মামলা–মোকদ্দমা! নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ারের শুরুতেই এ রকম ঘটনাকে বাধা মনে করছেন কি?’ উত্তরে দীঘি বলেন, ‘তা করছি না। তবে একে একটা শিক্ষা হিসেবে নিয়েছি। জীবনে তো উত্থান–পতন থাকেই। একে আমি ইতিবাচকভাবে দেখছি। এটা আমার জন্য একটা শিক্ষা। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় আরও সাবধান থাকব। মামলা-মোকদ্দমা, বিতর্ক— বিষয়গুলোকে ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই। তবে খারাপ লাগছে। ভাবিনি এ রকম হবে। হয়ে যখন গেলই, আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছি না। আমি কাজ করে যাব।’

ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে চান দীঘি। করতে চান ভালো ভালো সব কাজ। এখনো শুটিং নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। ‘তুমি আছো, তুমি নেই’ ছবির প্রচারণার জন্য কণ্ঠ দিতে আহ্বান করেছিলেন পরিচালক। দীঘি সময় করে উঠতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমি ফোন নীরব করে কাজ করি। শুটিংয়ের মধ্যে কখনো হয়তো ফেসবুক স্ক্রল করি, জরুরি মেসেজ দেখি। শুটিংয়ের সময় যদি ফোন ধরি, চরিত্র থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।’