পর্দা নামবে আজ

আজ পর্দা নামবে ‘ঊনবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-২০২১’–এর। বিকেল চারটায় জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। উৎসবে প্রদর্শিত ৭৩টি দেশের ২২৬টি চলচ্চিত্রের ভেতর ৫টি বিভাগে সেরা ছবিগুলোকে দেওয়া হবে পুরস্কার। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের রেকর্ডসংখ্যক ৪১টি সিনেমা।

ঊনবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-২০২১
সংগৃহীত

এশিয়ান কম্পিটিশন বিভাগে সেরা ছবির জন্য এক লাখ টাকার সঙ্গে পুরস্কার হিসেবে থাকছে স্মারক আর সনদ। এই বিভাগে সেরা পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রী, চিত্রগ্রাহক আর চিত্রনাট্যের জন্য থাকছে স্মারক আর সনদ। বাংলাদেশ প্যানোরোমা বিভাগে এ বছর অংশ নিয়েছে ৯টি সিনেমা। সেখান থেকে একটি ছবিকে দেওয়া হবে সেরার পুরস্কার। সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড বিভাগ, চিলড্রেনস বিভাগ (বেস্ট জুভেনাইল অডিয়েন্স বাদল রহমান অ্যাওয়ার্ড), নারী নির্মাতাদের বিভাগ (এখানে রয়েছে চারটি পুরস্কার) আর স্পিরিচুয়াল বিভাগের জন্য জুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেরা ছবিকেও দেওয়া হবে ক্রেস্ট আর সার্টিফিকেট। ১৬ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই উৎসব শেষ হবে আজ। রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ঘরে বসে অনলাইনেও দেখা যাবে উৎসবে প্রদর্শিত আজকের ছবিগুলো।

উৎসবে ভাষণ দিচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী
সংগৃহীত

উৎসবে চলেছে সপ্তম ‘আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস কনফারেন্স’। উৎসবে এবারই প্রথম যুক্ত হয়েছে ‘লিজেন্ডারি লিডারস হু চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড’ ও ‘ট্রিবিউট’ নামের আরও দুটি বিভাগ। ‘ট্রিবিউট’ বিভাগে অস্কারজয়ী বাঙালি নির্মাতা সত্যজিৎ রায়কে সম্মান জানিয়ে তাঁর কালজয়ী সাতটি ছবি প্রদর্শিত হয়। জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ও নৃত্যশালা মিলনায়তন, শিল্পকলার নন্দন মঞ্চ (মুক্তমঞ্চ), স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা ও সীমান্ত স্কয়ার শাখা—  এই আটটি পর্দায় সিনেমাগুলো দেখানো হয়েছে। ফ্রান্সের ছবি ‘স্প্রিং ব্লোসম’ দিয়ে শুরু হয়েছিল উৎসবের প্রদর্শনী। এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

উৎসবে সেমিনারে অনলাইনে যোগ দেন শর্মিলা ঠাকুর
সংগৃহীত

উৎসবের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল বলেছিলেন, ‘দেশের দর্শকদের চলচ্চিত্রের রুচি ও ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে কাজ করছে এ উৎসব। এর মাধ্যমে আমরা তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল নির্মাতাদের আন্তর্জাতিক ধারার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছি।’

কথা বলছেন উৎসবের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল
সংগৃহীত