আদালতে শ্রাবন্তী, ডিভোর্স চান

আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়নি শ্রাবন্তী ও রোশান সিংয়ের

কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বামী রোশন সিংয়ের সম্পর্কে অনেক আগেই চিড় ধরেছে। কারও সঙ্গে কারও যোগাযোগ নেই। এবার কাগজে–কলমে বিয়ের পাট চুকিয়ে ফেলতে চান শ্রাবন্তী। কলকাতার আলিপুর আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছেন অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়

শ্রাবন্তীর সঙ্গে সংসার করতে চেয়ে এর আগে জুনে ‘বৈবাহিক অধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ ধারায় মামলা করেছিলেন রোশন। তারই জবাবে এবার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করলেন শ্রাবন্তী। মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ডিসেম্বর। এই খবর ফলাও করে প্রচার করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা, হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাসহ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম।

এসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে আদালতে মামলা করেছিলেন রোশন। কিন্তু সেই মামলার সমন গ্রহণ করলেও গত জুলাই মাসে আদালতে আসেননি শ্রাবন্তী। ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতে দুই পক্ষের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল। সেদিনই আইনজীবীর মাধ্যমে রোশনের কাছে উত্তর পাঠান শ্রাবন্তী।

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়

২০১৯ সালে ‘গুগলি’ ছবির প্রিমিয়ারে রোশন-শ্রাবন্তীর পরিচয়। মাস কয়েকের মধ্যেই ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল পাঞ্জাবের অমৃতসরে গোপনে বিয়ে সারেন তাঁরা। বিয়ের ১০ দিন পর বিয়ের খবর প্রকাশ করেন শ্রাবন্তী। গত বছর শারদীয় দুর্গাপূজার আগে তাঁদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। শ্রাবন্তীর ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান রোশন। সংবাদমাধ্যমের কাছে সেই খবর ফাঁস হতে বেশি সময় লাগেনি।

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়

তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ না হলেও কেউ কারও সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করছেন না। ২০০৩ সালে ভারতীয় বাংলা ছবির পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে শ্রাবন্তীর প্রথম বিয়ে হয়। ঝিনুক নামে তাঁদের একটি ছেলে রয়েছে। ১৩ বছর সংসারের পর ২০১৬ সালে আলাদা হয়ে যান তাঁরা। রাজীবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে মডেল কৃষ্ণ ব্রজের সঙ্গে শ্রাবন্তীর প্রেম হয়। ২০১৬ সালে বিয়েও করেন এই জুটি। পরের বছরই বিচ্ছেদ হয়।

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়

ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের দর্শকের কাছেও সুপরিচিত শ্রাবন্তী। ২০১৯ সালের মার্চে শ্রাবন্তী অভিনীত ‘যদি একদিন’ ছবিটি মুক্তি পায়। বাংলাদেশের এই সিনেমায় তিনি তাহসানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন। এর আগে শাকিব খানের সঙ্গে ‘শিকারী’ ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা গেছে শ্রাবন্তীকে। আজ রোববার শ্রাবন্তী অভিনীত ‘বিক্ষোভ’ ছবিটি সেন্সর সনদ পায়।